ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত চক্ষু রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নেপাল থেকে তিনজন এবং ফ্রান্স থেকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এসেছেন। সেবা ফাউন্ডেশন ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উদ্যোগে তারা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ‘চিফ অ্যাডভাইজার জিওবিতে’ জানানো হয়েছে যে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ১৯২ জন চক্ষু রোগীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেছেন। এছাড়াও, তারা চারজন জটিল রোগীর অপারেশন সম্পন্ন করেছেন। আহত রেটিনা রোগীদের রেটিনার অস্ত্রোপচার শেষ হলে প্রায় ছয় মাস পরে কর্নিয়া অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কর্নিয়া সরবরাহের জন্য সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেবা ফাউন্ডেশন।
পেজটিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা রোগীদের যে সেবা দিয়েছেন, তা সঠিক। এই ধরনের আহত রোগীদের নেপালেও একইভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। চোখের ভিতরের গুলি অপসারণের পদ্ধতি সম্পূর্ণ সঠিক ছিল বলেও মত দিয়েছেন বিদেশি চিকিৎসকরা।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে অর্থোপেডিক চিকিৎসকরা বাংলাদেশে এসে চিকিৎসাসেবা দেবেন। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম জানিয়েছেন, অভ্যুত্থানে দেশের বিভিন্ন স্থানে আহতদের চিকিৎসা এবং শহীদ পরিবারগুলোর সহায়তার জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, শহীদ ও আহতদের পরিচিতিসহ একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির লক্ষ্যে গঠিত কমিটি ইতোমধ্যে একটি খসড়া নীতিমালা এবং আহত-নিহতদের প্রাথমিক তালিকা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। প্রস্তুতকৃত তালিকাটি সর্বসাধারণের যাচাইয়ের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ে ডেটাবেজ তৈরির সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।