প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার শিশুর প্রতি বঞ্চনা, শিশুশ্রম, অপুষ্টি ও বাল্যবিবাহসহ অন্যান্য সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধান করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আগামীকাল সোমবার (৭ অক্টোবর) ‘বিশ্ব শিশু দিবস’। এই উপলক্ষে রবিবার (৬ অক্টোবর) দেয়া এক বাণীতে ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশে ‘বিশ্ব শিশু দিবস ২০২৪’ উদ্যাপনের প্রেক্ষিতে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শিশুকে স্নেহ ও ভালোবাসা জানাই। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রেক্ষিতে বিশ্ব শিশু দিবস পালনের গুরুত্ব নতুন মাত্রায় উপনীত হয়েছে।”
তিনি বলেন, “শিশুরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার। বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে শিশুদের সুন্দর বিকাশের জন্য আমাদের সবার দায়িত্ব এটি নিশ্চিত করা। তাই শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ, শিক্ষা, নিরাপত্তা, পুষ্টি ও সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা অপরিহার্য।”
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “যদি শিশুরা স্নেহ, মমতা ও মুক্তচিন্তার চেতনায় বেড়ে ওঠে, তবে তারা আগামী দিনের বাংলাদেশ গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে। আজকের শিশুরাই ভবিষ্যতের শিল্পী, সাহিত্যিক, দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ, বিজ্ঞানী, চিকিৎসক ও প্রকৌশলী হয়ে উঠবে।”
ড. ইউনূস আশা প্রকাশ করেন, “‘বিশ্ব শিশু দিবস ২০২৪’ উদ্যাপনে গৃহীত কর্মসূচি শিশুর সার্বিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। আমি আশা করি, বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শিশু নিরাপদ ও স্নেহময় পরিবেশে বেড়ে উঠুক—এটাই আজকের দিনে আমার প্রত্যাশা।”
তিনি বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৪-এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।