মাসল ক্রাম্প হলো মাংসপেশির ব্যথাপূর্ণ সংকোচন বা হঠাৎ শক্ত হয়ে যাওয়া, যা কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। সাধারণত এটি পায়ের মাংসপেশিতে ঘটে, বিশেষ করে রাতের বেলায় যখন পায়ের ডিম বা কাফ মাসল হঠাৎ সংকুচিত হয়। কখনো কখনো ঊরু বা পায়ের পাতার পেশি সংকুচিত হতে পারে, এবং এটি ঘুমের মধ্যে কিংবা জেগে থাকার সময়েও হতে পারে।
**মাসল ক্রাম্প প্রতিরোধের উপায়:**
মাসল ক্রাম্প একটি অসহনীয় অবস্থা, যা পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা সৃষ্টি করে। এই পরিস্থিতিতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে মাসল ক্রাম্প বন্ধ করা যেতে পারে:
1. **মাংসপেশি প্রসারিত করুন ও ম্যাসাজ করুন:** সংকুচিত পেশিকে প্রসারিত করা এবং মৃদু ম্যাসাজ করলে উপকারে আসতে পারে।
2. **গরম পানিতে গোসল করুন:** পেশি রিল্যাক্স করতে গরম পানিতে গোসল করুন বা সংকুচিত পেশিতে গরম পানি ঢালুন। গরম প্যাড ব্যবহার করলেও ফলদায়ক হতে পারে।
3. **বরফ বা কোল্ড প্যাক ব্যবহার করুন:** বরফের টুকরোটি অবশ্যই কাপড়ে মুড়ে ব্যবহার করুন।
4. **ব্যথার ওষুধ নিন:** প্যারাসিটামল, আইবুপ্রোফেন বা ন্যাপ্রোক্সেন জাতীয় ব্যথার ওষুধ নিতে পারেন। তবে, ওষুধ গ্রহণের আগে ব্যবহার বিধি ও নির্দেশাবলী ভালোভাবে পড়ুন।
5. **ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন মেনে চলুন:** যদি আপনার ডাক্তার মাসল ক্রাম্পের জন্য কোনো ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন, তাহলে সেগুলি ঠিকভাবে অনুসরণ করুন।
6. **পানি পান করুন:** প্রচুর পানি পান করুন এবং কিছু স্পোর্টস ড্রিংকস পান করতে পারেন, যেগুলো পায়ের পেশির ক্রাম্পে উপকারী।
**মাসল ক্রাম্প কমানোর জন্য কিছু পরামর্শ:**
– কাছাকাছি জায়গায় হাঁটুন অথবা পায়ে ঝাঁকি দিন।
– আপনার কাফ মাসল প্রসারণ করুন। বসে বা দাঁড়িয়ে থাকাকালীন পায়ের আঙুলগুলো উপরের দিকে রেখে হাঁটুর দিকে টানুন।
– দাঁড়িয়ে থাকলে, দেয়াল থেকে দুই ফুট সামনে দাঁড়িয়ে সামনে ঝুঁকে থাকুন, গোড়ালি মাটিতে রাখুন এবং অন্য পায়ের হাঁটু ভাঁজ করে রাখুন।
**যদি কোনো ওষুধের কারণে মাসল ক্রাম্প হয়ে থাকে:**
– নতুন ডোজ গ্রহণের আগে আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন, প্রয়োজন হলে ওষুধটি বন্ধ বা পরিবর্তন করুন।
– প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো ওষুধ গ্রহণ করলে সেটি বন্ধ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
লেখক: ভাইস-প্রিন্সিপাল, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।