ইউরিক অ্যাসিড এমন একটি পদার্থ যা আমাদের শরীর কিছু খাবার ভাঙার সময় উৎপন্ন হয়। যখন এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তখন এটি জয়েন্টগুলোতে জমে যেতে পারে এবং বিভিন্ন অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। সাধারণত, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ৩.৫ থেকে ৭.২ এমজি/ডিএল এর মধ্যে থাকা উচিত। যদি এটি বেড়ে যায়, তবে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করার জন্য ঘরে তৈরি কিছু পানীয় রয়েছে। চলুন জেনে নিই সেগুলো:
১. **লেবু পানি**
সকালে লেবু পানির সঙ্গে দিন শুরু করুন। এটি ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করতে পারে। লেবুর উচ্চ ভিটামিন সি শরীরের অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড দূর করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানিতে অর্ধেক লেবু চিপে পান করুন।
২. **গ্রিন ডিটক্স ড্রিংক**
পালং শাক, শসা, আদা এবং লেবুর রসের মিশ্রণ একটি শক্তিশালী ডিটক্স পানীয়। পালং শাকের ক্লোরোফিল বিষাক্ত পদার্থ নির্মূলে সহায়তা করে। শসা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং টক্সিন বের করতে সহায়তা করে, আদা হজমে এবং প্রদাহ কমাতে সহায়ক, এবং লেবুর রস লিভারের ডিটক্সিফিকেশনে কাজ করে।
৩. **হলুদ দুধ**
হলুদ মেশানো দুধ খেলে আরামের সঙ্গে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। হলুদে থাকা কারকিউমিন প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হালকা গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মেশান এবং পান করুন।
৪. **শসার রস**
শসা হলো শীতলতার প্রতীক। এতে ৯০% পানি থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিড ও টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এটি পিউরিনের পরিমাণে খুব কম, তাই সমস্যা বাড়ায় না। গরমের দিনে অল্প পানিতে ব্লেন্ড করে এটি উপভোগ করুন।
৫. **আদা চা**
যারা আদা চা পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি একটি ভালো বিকল্প। আদা প্রদাহ-বিরোধী উপকারিতায় সমৃদ্ধ, যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। আদার কয়েকটি টুকরা পানিতে সেদ্ধ করে চা তৈরি করুন এবং একটু মধু যোগ করুন। এটি জয়েন্টগুলোকে উপকারে আসবে।