### ঢাকা বায়ুদূষণের শীর্ষে; বাংলাদেশ বিশ্বের ৩০টি বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায়
গণমাধ্যমে প্রায়ই শিরোনাম দেখা যায়, ‘বাংলাদেশে ধূমপায়ীর হার বাড়ছে’। এসব সংবাদ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, বাংলাদেশের মানুষের ফুসফুসের স্বাস্থ্য কেমন। চিকিৎসকরা বলেন, ফুসফুস হলো একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ; এর ক্ষতি হলে অক্সিজেন গ্রহণ এবং স্বাভাবিক শ্বাস-নিশ্বাসের প্রক্রিয়াও ব্যাহত হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের একটি বড় অংশ ফুসফুসের বিভিন্ন রোগে ভুগছে। ফুসফুসের প্রধান রোগের মধ্যে রয়েছে বায়ুদূষণ, ধূমপান, অতিরিক্ত জনসংখ্যা, দারিদ্র্য ও সামাজিক সচেতনতার অভাব। বাংলাদেশে ফুসফুসের প্রধান রোগগুলো হলো সিওপিডি, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, য²া, আইএলডি এবং ফুসফুসের ক্যান্সার। করোনা মহামারির সময় যারা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ফুসফুসজনিত সমস্যা বেশি দেখা গেছে।
২০১৯ সালের ন্যাশ গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ অ্যাজমা এবং একই সংখ্যক সিওপিডিতে ভুগছেন। ধূমপায়ী জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে। ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান বলছে, য²া আক্রান্ত ৭৯ শতাংশ রোগী চিকিৎসার আওতায় এসেছেন, কিন্তু ২১ শতাংশ শনাক্তের বাইরে রয়েছে।
বায়ুদূষণের কারণ হিসেবে প্রধানত ইটভাটা, যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া এবং নির্মাণ কাজের ধুলা চিহ্নিত করা হয়েছে। পরিবেশবিদরা সতর্ক করছেন যে, বায়ুদূষণ বাড়ার ফলে ফুসফুসের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, এবং এ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সামাজিক সচেতনতা অপরিহার্য।
রেসপিরেটরি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “পরিষ্কার বায়ু ও স্বাস্থ্যকর ফুসফুস একজন মানুষকে সুস্থ রাখতে পারে।” বায়ুদূষণ থেকে রক্ষার জন্য ঘরে ধুলাবালি জমা থেকে বিরত থাকা ও ধূমপান পরিহার করা প্রয়োজন।
এ প্রেক্ষাপটে, আজ ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ফুসফুস দিবস পালিত হচ্ছে, যা ফোরাম অব ইন্টারন্যাশনাল রেসপিরেটরি সোসাইটির উদ্যোগে ফুসফুসের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে উদযাপন করা হয়।