বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে শারীরিক অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ে। তাই ৪০ বছর বয়সে পদার্পণ করার পর শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে প্রতিদিন কিছু না কিছু কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করা জরুরি। নিয়মিত শরীরচর্চা আপনার হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, পরিপাকতন্ত্র, রক্তনালী, পেশি ও হাড়কে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। শরীর সচল থাকলে খাবার থেকে পুষ্টি উপাদানগুলো ভালোভাবে শোষিত হয়, ফলে পুষ্টিহীনতা ও রক্তশূন্যতার ঝুঁকি কমে। এর সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বয়সজনিত ব্যথা-বেদনার প্রবণতা কমে। শরীরচর্চার ফলে ত্বকে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালিত হয়, যা ত্বকের স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
### প্রতিদিন নিয়মিত শরীরচর্চার উপকারিতা:
**ত্বকের লাবণ্যতা বৃদ্ধি:**
শরীরচর্চার ফলে রক্তপ্রবাহ বাড়ে, ফলে ত্বক সুস্থ ও সতেজ থাকে। ঘামের মাধ্যমে ত্বকের লোমকূপের কার্যকারিতা বজায় থাকে।
**সুঠাম ও লিকলিকে দেহ:**
নিয়মিত ব্যায়াম ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরের বাড়তি মেদ ঝরে যায়।
**কর্মচাঞ্চল্যতা বৃদ্ধি:**
শরীরচর্চা মানুষের উদ্যমী করে তোলে এবং জীবনধারায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনে।
**ফুরফুরে মন:**
শরীরচর্চা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, ফলে মন প্রফুল্ল ও প্রশান্ত থাকে।
নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে আপনি পরিবারে নতুন উদ্যম নিয়ে ফিরে আসতে পারবেন। যেমন, সকালে উঠে ব্যায়াম করার পর বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া বা বিকালে তাদের সঙ্গে খেলা—এসব সুদৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।
লেখক: জনস্বাস্থ্য বিষয়ক লেখক ও গবেষক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, খাজা বদরুদজোদা মডার্ন হাসপাতাল, সফিপুর, কালিয়াকৈর, গাজীপুর।