কোলোরেক্টাল ক্যান্সার, যা মলাশয়ের ক্যান্সার নামেও পরিচিত, একটি সাধারণ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যান্সার। এটি মূলত কোলন বা মলদ্বারে অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধির ফলস্বরূপ ঘটে। বিশ্বব্যাপী, পুরুষদের মধ্যে এটি তৃতীয় এবং মহিলাদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বাধিক সাধারণ ক্যান্সার। ২০১৮ সালে, ১.৮ মিলিয়নেরও বেশি নতুন কোলোরেক্টাল ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশে সচেতনতাহীনতার কারণে কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি।
### কোলোরেক্টাল ক্যান্সার কি?
এটি ঘটে যখন কোলন বা মলদ্বারের কোষগুলো অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা পলিপ নামে পরিচিত। সব পলিপ ক্যান্সারযুক্ত নয়, তবে যেগুলো বাড়তে থাকে সেগুলো ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে।
### ঝুঁকির কারণ:
– বয়স
– পারিবারিক ইতিহাস
– স্থূলতা
– লাল মাংসের বেশি ভোজন
– ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণ
– কিছু চিকিৎসা শর্ত
### সাধারণ লক্ষণ:
– মলের মধ্যে রক্ত
– আলগা মল বা কোষ্ঠকাঠিন্য
– পেটে ব্যথা
– ক্লান্তি
– অসম্পূর্ণ অন্ত্র খালি করা
– অনিচ্ছাকৃত ওজন হ্রাস
লক্ষণগুলো অন্য গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার সাথে মিলে যেতে পারে, তাই কোলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা জরুরি।
### স্ক্রিনিং নির্দেশিকা:
আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির মতে, ৪৫ বছর বয়সে সাধারণ ঝুঁকির লোকদের স্ক্রিনিং শুরু করা উচিত। কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের জন্য বিভিন্ন স্ক্রিনিং পদ্ধতি রয়েছে, যেমন:
– মলভিত্তিক পরীক্ষা
– কোলোনোস্কোপি (১০ বছরে একবার)
### প্রতিরোধের উপায়:
– লাল মাংস কম খাওয়া
– অ্যালকোহল সীমিত করা
– ধূমপান ত্যাগ করা
– ওজন নিয়ন্ত্রণ
– নিয়মিত ব্যায়াম করা
– উচ্চ ফাইবার খাদ্য গ্রহণ
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, কোলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
চেম্বার: ১৯ গ্রীন রোড, ঢাকা। ফোন: ০১৭১২৯৬৫০০৯