# ১. লক্ষণ
ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর, যা ১০১ থেকে ১০২ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে। এর সঙ্গে শরীরব্যথা, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা এবং ত্বকে লালচে দাগ (র্যাশ) হতে পারে। তবে লক্ষণগুলো না থাকলেও ডেঙ্গু হতে পারে।
### ২. জ্বর হলেই সতর্কতা
ডেঙ্গুর মৌসুমে জ্বর হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। অবহেলার ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে যেতে পারে।
### ৩. বিশ্রাম
জ্বর হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া আবশ্যক। দৈনন্দিন কাজ করা থেকে বিরত থাকুন এবং শারীরিক পরিশ্রম কম করুন।
### ৪. খাদ্যাভ্যাস
প্রচুর তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে, যেমন ডাবের পানি, লেবুর শরবত ও ফলের রস। পুষ্টিকর খাদ্যও গুরুত্বপূর্ণ।
### ৫. ঔষধের সতর্কতা
ডেঙ্গুর সময়ে প্যারাসিটামল গ্রহণ করা যাবে, তবে অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ এড়ানো উচিত। প্যারাসিটামলের বেশি ডোজ গ্রহণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
### ৬. প্ল্যাটিলেট নিয়ে উদ্বেগ
ডেঙ্গুতে প্ল্যাটিলেট কাউন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। এটি চিকিৎসকের ব্যবস্থাপনায় রাখতে হবে।
### ৭. হাসপাতালে ভর্তি প্রয়োজন কিনা?
ডেঙ্গুর তিনটি ক্যাটাগরি আছে: ‘এ’ (সাধারণ), ‘বি’ (লক্ষণযুক্ত) এবং ‘সি’ (গম্ভীর)। প্রথম ক্যাটাগরির রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই, তবে ‘বি’ ও ‘সি’ ক্যাটাগরির জন্য ভর্তি হওয়া দরকার।
### ৮. মৌসুম
ডেঙ্গুর প্রকোপ সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে থাকে, কিন্তু এবার জুন থেকে শুরু হচ্ছে।
### ৯. এডিস মশার কামড়
এডিস মশা সাধারণত সকালে এবং সন্ধ্যার আগে কামড়ায়, রাতে কামড়ায় না।
### ১০. পানি জমে না রাখার পরামর্শ
এডিস মশা স্বচ্ছ পানিতে ডিম পাড়ে। তাই বাড়ির চারপাশে পানি জমতে না দেওয়া উচিত, যেমন ফুলের টবে, নির্মাণাধীন স্থানে বা ব্যবহৃত টায়ারে।