**শরীরে অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্যান্সার সৃষ্টি হয়**
* প্রতিটি মানুষের শরীরে ক্যান্সার কোষ থাকে, কিন্তু এসব কোষ সাধারিত পরীক্ষার মাধ্যমে তখনও ধরা পড়ে না যখন তারা সংখ্যায় বিলিয়নের নিচে থাকে। চিকিৎসক যখন বলেন যে চিকিৎসার পর শরীরে কোনো ক্যান্সার কোষ নেই, এর মানে হলো পরীক্ষা এত ছোট কোষ শনাক্ত করতে অক্ষম।
* একজন ব্যক্তির জীবদ্দশায় ক্যান্সার কোষ ৬ থেকে ১০ বার বিভাজিত হতে পারে।
* শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে এবং তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও টিউমার গঠনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে।
* ক্যান্সার রোগ হওয়ার ইঙ্গিত হলো শরীরে পুষ্টির অভাব, যা জিনগত, পরিবেশগত, খাদ্য এবং জীবনধারার কারণে হতে পারে।
* পুষ্টির অভাব দূর করতে, আরও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করে এবং ডায়েট পরিবর্তন করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা যায়। দিনে ৪-৫ বার খাবার খাওয়া এবং উপযুক্ত সম্পূরক ব্যবহার রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
* কেমোথেরাপি দ্রুত বর্ধনশীল ক্যান্সার কোষগুলোকে বিষাক্ত করে, তবে এটি অস্থি মজ্জা, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে সুস্থ কোষগুলোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং লিভার, কিডনি, হার্ট, ফুসফুসের মতো অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে।
* বিকিরণ ক্যান্সার কোষ ধ্বংসের পাশাপাশি সুস্থ কোষ, টিস্যু এবং অঙ্গগুলোকে পুড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
* কেমোথেরাপি এবং বিকিরণের প্রাথমিক চিকিৎসা টিউমারের আকার কমিয়ে দিতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে টিউমার সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয় না।
* কেমোথেরাপি এবং বিকিরণের অতিরিক্ত বিষাক্ততা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করতে পারে, যার ফলে বিভিন্ন সংক্রমণ এবং জটিলতা হতে পারে।
* কেমোথেরাপি ও বিকিরণ ক্যান্সার কোষের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করতে পারে, যা তাদের প্রতিরোধী করে তোলে এবং ধ্বংস করা কঠিন হয়। অস্ত্রোপচার ক্যান্সার কোষ অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
* ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি কার্যকর উপায় হলো ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় খাবার না দেওয়া।
* আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা শরীরের বিভিন্ন সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত। সিস্টেমের অসামঞ্জস্যই ক্যান্সারের জন্ম দেয়। এই সিস্টেমগুলিকে স্বাভাবিক করতে পারলে ক্যান্সার রোগের সফলতা সম্ভব। শরীরে এন্টিবডি তৈরি করতে হবে যা এন্টিজেনের বিরুদ্ধে কাজ করে, এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে হবে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে প্রতিটি সিস্টেমের জন্য প্রথম গ্রেড থেকে তৃতীয় গ্রেড পর্যন্ত উপযুক্ত ওষুধ নির্বাচন করা যেতে পারে।
বর্তমান যুগে প্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে ওষুধ নির্ধারণ করে চিকিৎসা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ, ফুসফুসের ক্যান্সার ধরা পড়লে, বায়োপসি করে ক্যান্সারের স্টেজ, প্রকার এবং আক্রান্ত অঙ্গের ওপর ভিত্তি করে ওষুধ নির্বাচন করা হয়। সাধারণ লক্ষণগুলো যেমন বুকে ব্যথা, কাশির সঙ্গে রক্ত, ওজন কমে যাওয়া, অবসাদ, খাবারে অরুচি ইত্যাদি দেখে চিকিৎসক রিপোর্টের ভিত্তিতে ওষুধ নির্ধারণ করেন।
প্রত্যেক সিস্টেমকে সচল রেখে ক্যান্সার রোগীকে দীর্ঘ সময় সুস্থ রাখা সম্ভব। এর মাধ্যমে রোগী এবং তার পরিবার উভয়ই উপকৃত হতে পারে।
**লেখক: বিএইচএমএস (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), ডিএমইউসিইসি, এমএসএস-সিএসডব্লিউ (ঢা.বি.)**
**চেম্বার: ইনো হোমিও ফার্মেসি, ৩/১, পুরানা পল্টন, ঢাকা।**
**মোবাইল: ০১৭১২-০৭৯২৬০**