কর্মব্যস্ত জীবনে কাজই প্রধান হয়ে ওঠে, এবং মাঝে মাঝে নিজেদের শরীরের যত্ন নেওয়ার বিষয়টি উপেক্ষিত হয়ে যায়। কাজের চাপের মধ্যে শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে, তাই শারীরিক দুর্বলতা কাটানোর জন্য নিজের প্রতি যত্নবান হওয়া অপরিহার্য। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চলা উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কিছু নির্দিষ্ট খাবার শরীরের শক্তি দ্রুত ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে এবং রোগের ঝুঁকি কমায়।
এর মধ্যে ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন কমলা, লেবু, আঙুর, কিউই, লেটুসপাতা, পালংশাক ও মরিচ গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, দুধ, ডিম, কলা ও কাজুবাদামও শরীরের দুর্বলতা দূর করতে সহায়তা করে।
**দুগ্ধজাত খাবার:** গবেষণায় দেখা গেছে, লো ফ্যাট দুধ ও এর উপাদানগুলি যেমন দই ও ছানা শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে। এই খাবারগুলোতে উচ্চ গুণসম্পন্ন প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম থাকে। তাই এসব খাবার নিয়মিত ডায়েটে রাখা উচিত।
**ফলমূল ও শাকসবজি:** পুষ্টিবিদদের মতে, শাকসবজি ও ফলমূল ডায়েটের অপরিহার্য অংশ। এতে থাকা ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে এবং পেশি তৈরিতে সাহায্য করে। তবে, প্রোটিনের জন্য অন্যান্য খাবারও খেতে হবে।
**ডিম:** ডিম প্রোটিনের ভালো উৎস, যা সহজে শরীর গ্রহণ করতে পারে। ডিমের কুসুমে লিউটিন থাকে যা চোখের জন্য উপকারী। কোলেস্টেরল বা ডায়াবেটিস না থাকলে ডিমের কুসুমও খাওয়া উচিত।
**কম চর্বিযুক্ত মাংস:** চর্বিহীন মাংসে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, ক্লোরাইড ও বাইকার্বোনেট থাকে যা শরীরকে সুরক্ষিত রাখে। বিশেষ করে মুরগির বুকের মাংস, যা চর্বিহীন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ, পেশি তৈরিতে সহায়তা করে।
**উদ্ভিজ্জ প্রোটিন:** শিমের বীজ, ওটস, ডালিয়া এবং বাদাম (আমন্ড, পেস্তা, ওয়ালনাট) উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের ভালো উৎস। এতে ফাইবার, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা পেশির শক্তি বাড়ায় এবং শরীর সুস্থ রাখে।