স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৬২৫ জন নিহত এবং ১৮,৩৮০ জন আহত হয়েছেন। তবে এই সংখ্যা চূড়ান্ত নয় বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আন্দোলনে আহত ছাত্রদের মধ্যে যারা বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন, তাদের জন্য যদি কোনো দায়ভার থাকে, তাহলে আমরা জাতির কাছে তা গ্রহণ করব। আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি এবং আহত ছাত্রদের বিদেশে চিকিৎসার জন্য চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ বিমান বিনামূল্যে টিকিট দিয়েছে, না দিলে আমরা ব্যবস্থা করব।”
তিনি আরও জানান, আহত ও নিহতের সঠিক সংখ্যা নিরূপণের জন্য একটি টাস্কফোর্স বা কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা উচ্চ পর্যায়ের সাবেক স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে কাজ করছে। তারা তথ্য সংগ্রহ করে একটি সংখ্যা নির্ধারণের চেষ্টা করছেন, তবে এটি চূড়ান্ত নয়।
সিনিয়র সচিব বলেন, “আমরা ১৮,৩৮০ জন আহত এবং ৬২৫ জন নিহত হওয়ার তথ্য পেয়েছি। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের চেষ্টা চলছে। আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে সেবাদানকারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা। আমরা আমাদের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি, যা অবহেলার কারণে ভেঙে পড়েছে।”
জুলাইয়ে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে। এর ফলে বহু ছাত্র-জনতার প্রাণহানি ঘটে এবং আন্দোলন সরকার পতনের দিকে চলে যায়। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকার পতন ঘটে এবং শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে।