আকমল হোসেন আজাদ বলেছেন, আন্দোলনে আহত ছাত্রদের মধ্যে যাঁরা বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন, তাদের জন্য যদি কোনো দায়ভার থাকে তবে আমরা জাতির কাছে তা গ্রহণ করব না। এজন্য আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি এবং আহত ছাত্রদের বিদেশে চিকিৎসার চেষ্টা করছি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিনামূল্যে টিকিট দিয়েছে, না দিলে আমরা ব্যবস্থা করব।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আহত বা নিহত ছাত্রদের সংখ্যা নির্ধারণে একটি টাস্কফোর্স বা কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা উচ্চ পর্যায়ের সাবেক স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে কাজ করছে। তারা তথ্য সংগ্রহ করে একটি সংখ্যা নির্ধারণের চেষ্টা করছেন, তবে এটি চূড়ান্ত নয়।
সিনিয়র সচিব বলেন, বর্তমানে আমাদের তথ্য অনুযায়ী, ১৮,৩৮০ জন আহত এবং ৬২৫ জন নিহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং সরকারি হাসপাতালগুলিতে সেবাদানকারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতির কাজ চলছে। আমাদের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে, যা অবহেলার কারণে ভেঙে পড়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে জুলাইয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে, যা পরে সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত হয়। শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে নির্বিচারে হত্যার, যার ফলে ৫ আগস্ট সরকার পতন ঘটে। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান এবং ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে।