দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০৫:৫১

এসময়ে জ্বর হলে রক্ত পরীক্ষা করা উচিত।

এ বছর ডেঙ্গুর চারটি ধরনের মধ্যে তিনটি ধরন সক্রিয় রয়েছে। দ্বিতীয় বা এর বেশি বার আক্রান্ত হলে অনেকের অবস্থার অবনতি হতে পারে, যার ফলে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এই কারণে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

ডেঙ্গুর সাবধানতা সম্পর্কে জানাচ্ছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ:

**উপসর্গ**

ডেঙ্গুর উপসর্গের ধরন এখন বদলে গেছে। বর্তমানে ডেঙ্গুর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে হঠাৎ জ্বর আসা ও চলে যাওয়া, কাশি, শরীর ব্যথা, বমি বা বমি বমি ভাব, তীব্র পেট ব্যথা, চোখে ব্যথা, দেহে র‌্যাশ উঠা, রক্তচাপ ও পালস কমে বা বেড়ে যাওয়া, প্রস্রাব কম হওয়া, দীর্ঘমেয়াদি ডায়রিয়া, মস্তিষ্কে প্রদাহ, হাত-পা ফুলে যাওয়া, শরীরে পানি জমা, পাতলা পায়খানা এবং প্লাটিলেটের সংখ্যা কমে যাওয়া। এসব লক্ষণ দেখা দিলে সুস্থ হতে বেশ কয়েক দিন হাসপাতালে থাকতে হতে পারে।

**২৪ ঘণ্টা মশা কামড়াতে পারে**

ডেঙ্গু মূলত এডিস ইজিপ্টি প্রজাতির মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। আগে বলা হতো, এডিস মশা সূর্য ওঠার সময় এবং সূর্য ডোবার সময় কামড়ায়। সেজন্য দিনের বেলায় মশারি ব্যবহার করতে এবং ফুলহাতা পোশাক পরতে পরামর্শ দেওয়া হতো। তবে বর্তমানে গবেষণায় দেখা গেছে, এডিস মশা ২৪ ঘণ্টাই কামড়াতে পারে, যার ফলে ডেঙ্গু হতে পারে। রাতের অন্ধকারে কামড়ানোর হার কিছুটা কম হলেও, ঘর আলোকিত থাকলে রাতেও কামড়াতে পারে। সুতরাং, ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার আচরণ বদলে গেছে এবং ডেঙ্গু এখন সারা বছরের অসুখ হয়ে গেছে।

**পরীক্ষার উপযুক্ত সময়**

ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য সব ধরনের পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই; ডাক্তার যেসব পরীক্ষা করার প্রয়োজন মনে করবেন, তাতেই সঙ্কেত পাওয়া যাবে। ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য এনএস১ পরীক্ষা করা যথেষ্ট। যদি এনএস১ পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তবে তা ডেঙ্গুর নির্দেশক হিসেবে ধরা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে। তাই জ্বর আসার প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এনএস১ পরীক্ষা করা উচিত। জ্বর আসার তিন দিনের মধ্যে পরীক্ষা করলেও ফল পাওয়া যায়, কিন্তু তিন দিন পর এনএস১ পরীক্ষা করলে এর সুফল কম হয়।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট