চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে নানা ঘরোয়া উপাদানের তুলনা নেই। বর্তমানে অনেকেই চুলের যত্নে ঘরোয়া পদ্ধতির ওপর নির্ভর করছেন। এই তালিকায় আমলকী এবং অ্যালোভেরা অন্যতম। কেউ চুলের যত্নে আমলকী ব্যবহার করেন, আবার কেউ অ্যালোভেরা দিয়ে কাজ চালান। পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ এই দুই উপাদানই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আপনার চুলের জন্য কোনটি সেরা, তা জানা জরুরি। এসব ভেষজ ব্যবহার করে আপনি পেতে পারেন ঝলমলে এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল।
যদি ঘাম ও ধুলাবালিতে চুল হয়ে থাকে রুক্ষ, তাহলে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণ জল থাকে, যা প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজারের কাজ করে। চুল রুক্ষ হলে সরাসরি অ্যালোভেরা জেল চুল ও স্ক্যাল্পে লাগাতে পারেন, অথবা নারিকেল তেল বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুল হবে কোমল ও মসৃণ।
অ্যালোভেরাতে আছে ভিটামিন এ, সি, ই এবং বি১২, পাশাপাশি ফলিক অ্যাসিড ও বিটা-ক্যারোটিনও রয়েছে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ, যা হেয়ার ফলিকলকে পুষ্টি দেয় এবং স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এই কারণে চুল পড়ার সমস্যা কমে।
আমলকীও চুলের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। এটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে এবং চুলকে মখমলের মতো করে তোলে। আমলকী তেল দিয়ে মালিশ করলে চুলের শাইন বাড়বে এবং চুল হবে সুস্থ। এতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে যা কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে চুলের গোড়া শক্তিশালী হয়। আমলকীর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেলগুলোর ক্ষতি প্রতিরোধ করে এবং চুল পড়া রোধ করে।