সন্তোষজনকভাবে শারীরিক সম্পর্ক করতে পুরুষাঙ্গের উত্থান একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যখন একজন পুরুষ যৌন সম্পর্কের জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত হন, কিন্তু পুরুষাঙ্গ সঙ্গমের জন্য যথাযথভাবে উত্থিত না হয়, সেটি ইরেকটাইল ডিসফাংশন (ED) বা লিঙ্গ উত্থান সমস্যা হিসেবে পরিচিত। সহজভাবে বললে, যদি যৌন সম্পর্কের সময় পুরুষাঙ্গ যথেষ্ট শক্ত না হয়, একেবারেই শক্ত না হয়, অথবা কিছুক্ষণের মধ্যেই নরম হয়ে যায়, আর এটি ৩ থেকে ৬ মাস ধরে প্রায় প্রতি সহবাসে ঘটে, তাহলে সেটা ইরেকটাইল ডিসফাংশন। যৌন উত্তেজনার প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্ক, হরমোন, আবেগ, স্নায়ু, মাংসপেশী এবং রক্তনালি জড়িত। যৌন উদ্দীপনায় ব্রেইন স্টিমুলেটেড হয়, এরপর কিছু হরমোন ও নার্ভের মাধ্যমে পুরুষাঙ্গের রক্তনালী প্রসারিত হয়ে রক্তপ্রবাহ বাড়ায় এবং পুরুষাঙ্গ উত্থিত হয়। এই প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যা দেখা দিলে ইরেকটাইল ডিসফাংশন হতে পারে। শারীরিক ও মানসিক কারণ উভয়ই এই সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহের অভাব ও নার্ভ সাপ্লাই কম হওয়া সমস্যার মূল কারণ। তবে শরীরের হরমোন কমে যাওয়া বা পারফরম্যান্স এনজাইটি মত মানসিক কারণে সমস্যা হতে পারে। ইরেকটাইল ডিসফাংশনের নির্ণয়ের জন্য একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রক্তপ্রবাহ পরীক্ষা করতে পারেন। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে দীর্ঘস্থায়ী পুরুষত্বহীনতা বা বিবাহবিচ্ছেদ হতে পারে। তবে শকওয়েভ ও পি-শট চিকিৎসার মাধ্যমে কার্যকরভাবে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান সম্ভব। শকওয়েভ চিকিৎসায় বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে পুরুষাঙ্গে জলতরঙ্গ দেওয়া হয় যা নতুন টিস্যু তৈরি করতে সাহায্য করে, আর পি-শট পদ্ধতিতে শরীর থেকে রক্ত নিয়ে তা প্রক্রিয়াকরণের পর ইনজেকশন দেওয়া হয়। এই চিকিৎসা পদ্ধতি নিরাপদ ও কার্যকর এবং অনেক গবেষণায় এটি দীর্ঘস্থায়ী যৌন সক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে।