মানুষের ইরেকটাইল ডিসফাংকশন বা লিঙ্গোত্থানজনিত সমস্যার জন্য পরিচিত ওষুধ সিলডেনাফিল বা ভায়াগ্রা নতুনভাবে ব্যবহৃত হতে পারে। অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, এই ওষুধ ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশের চিকিৎসায় কার্যকর হতে পারে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, সিলডেনাফিল মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং রক্তনালিকার কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে, ফলে ভাসকুলার ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমে যেতে পারে।
ভাসকুলার ডিমেনশিয়া মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে ঘটে, যা স্মৃতি এবং অন্যান্য কগনিটিভ কার্যক্রমকে প্রভাবিত করে। সার্কুলেশন রিসার্চ নামক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, সিলডেনাফিল মস্তিষ্কের বড় ও ছোট রক্তনালিকায় রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করতে সক্ষম। এটি রক্ত থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণও কমাতে পারে, যা মস্তিষ্কের সেরিব্রোভাসকুলার কার্যকারিতা উন্নত করে।
ড. অ্যালাস্টার ওয়েব বলেন, “এই প্রথমবারের মতো দেখা যাচ্ছে যে সিলডেনাফিল ডিমেনশিয়া রোগীদের মস্তিষ্কের রক্তনালিতে রক্তপ্রবাহ বাড়াতে সহায়ক।” তিনি আরও জানান, “এটি ডিমেনশিয়া প্রতিরোধের জন্য সম্ভাবনাময় ওষুধ হতে পারে, তবে এর ব্যাপক প্রয়োগের আগে আরও গবেষণা প্রয়োজন।”
বর্তমানে ভাসকুলার ডিমেনশিয়ার নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই, এবং মস্তিষ্কের রক্তনালিকার ক্ষত ৩০ শতাংশ স্ট্রোক ও ৮০ শতাংশ অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।