প্রোটিন শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি পেশি ও হাড়ের বিকাশে সহায়ক এবং শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে। তবে, যদি প্রস্রাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত প্রোটিন বের হয়, তাহলে এটি শরীরের একটি জটিল সমস্যার সংকেত হতে পারে। আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা স্বীকার করছে যে আকুপ্রেশার এই সমস্যা নিরসনে সহায়ক হতে পারে।
প্রস্রাবে প্রোটিনের উপস্থিতি কিডনির বিভিন্ন সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে প্রোটিন প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হতে পারে, যা প্রোটিনুরিয়া বা অ্যালবুমিনুরিয়া নামে পরিচিত। এটি দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ বা সিকেডির সতর্কবার্তা দিতে পারে।
**প্রোটিনুরিয়ার সাধারণ কারণসমূহ:**
– কিডনি রোগ
– ডায়াবেটিস
– কিছু ইমিউনোলজিক্যাল অবস্থার কারণ
– উচ্চ রক্তচাপ
– হৃদরোগ
**প্রস্রাবে প্রোটিনের লক্ষণ:**
– ফেনাযুক্ত বা বুদবুদ যুক্ত প্রস্রাব
– ক্ষুধার অভাব
– শ্বাসকষ্ট
– মুখ, পেট, পা বা হাত ফোলা
– অস্বস্তি বা বমি বোধ
– রাত্রিকালীন পেশির খিঁচুনি
– ঘন ঘন প্রস্রাব
**চিকিৎসা:**
প্রস্রাবে প্রোটিনের সঠিক কারণ নির্ধারণ করে বিভিন্ন প্রতিকার গ্রহণ করতে হয়। ডায়াবেটিস থাকলে কিডনির পরীক্ষা, ক্রিয়েটিনিন এবং গ্লোমেরুলার ফিল্টারেশন রেট (ইজিএফআর) পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।
**আকুপ্রেশার:**
ছবিতে দেখানো পায়ের গোড়ালির ওপর থেকে টাকনু পর্যন্ত রেখা দেওয়া পয়েন্টে হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে চাপ দিতে হবে। এটি চাপ মাঝেমধ্যে জোরে হবে। সমস্যা থাকলে এসব পয়েন্টে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। প্রতি পায়ের একই স্থানে ১০০ বার চাপ দিতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে নাশতা খাওয়ার আগে এবং রাতে শোয়ার আগে অথবা খাবারের এক ঘণ্টা পরে এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। এক মাস আকুপ্রেশার করার পর প্রোটিনুরিয়া টেস্ট করাতে হবে। প্রোটিন লিকেজ কমলে এই পদ্ধতি তিন মাস পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে।
এছাড়া, খাদ্যবিধি মানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আকুপ্রেশার ওষুধের বিকল্প নয়, তাই ওষুধের পাশাপাশি এটি করা উচিত।
**পরামর্শ:**
আলমগীর আলম, খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র