দ্যা নিউ ভিশন

কথায় কথায় বুকজ্বালা: কারণ ও প্রতিকার

ঝালজাতীয় খাদ্য গ্রহণের পর ঢেঁকুর উঠলে বুক ও গলায় ঝালের কারণে জ্বালাপোড়া হতে পারে। একটু পানি পান করলে এই জ্বালা কমে যাবে। একেই বুকজ্বালা বলা হয়। পেটভরে খাওয়ার পর ভারী কাজ করলে ঢেঁকুর এবং বুকজ্বালার প্রবণতা বাড়তে পারে।পাকস্থলী ও খাদ্যনালির সংযোগস্থলে একটি শক্ত Sphincter থাকে, যা পাকস্থলীতে চাপ বৃদ্ধি পাওয়ার পরও খাদ্যবস্তু গলায় ও বুকে প্রবেশ করতে দেয় না। তবে যদি Sphincter দুর্বল হয়ে যায় বা বংশগতভাবে দুর্বল থাকে, তাহলে বুকজ্বালা হতে পারে।

 

বুকজ্বালা কম বয়সীদের তুলনায় বেশি বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। ডমপেরিডন জাতীয় ওষুধ এ সমস্যা কমাতে সাময়িক আরাম দিতে পারে।

 

বুকজ্বালার আরও একটি কারণ হলো হৃদরোগ। হৃদরোগের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে বুকজ্বালা, যা বুকের মাঝখানে অনুভূত হয়। এটি পেটভরে খাওয়ার পর দেখা দিতে পারে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই কমে যেতে পারে। অনেক হৃদরোগী এটাকে গ্যাসের ব্যথা হিসেবে মনে করেন।

 

হৃদরোগের প্রধান উপসর্গ হলো বুকে ব্যথা। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে ব্যথার পরিবর্তে বুকজ্বালা অনুভূত হতে পারে, বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস, হার্ট ফেইলুরে ভুগছেন বা বয়োবৃদ্ধ।

 

লেখক: চিফ কনসালটেন্ট, শমশের হার্ট কেয়ার, শ্যামলী, ঢাকা।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ