ফাঙ্গাস বা ছত্রাক সংক্রমণ খুবই ছোঁয়াচে এবং সহজেই ত্বক, ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও পরিবেশ থেকে ছড়াতে পারে। ছত্রাকের বংশবৃদ্ধি ও ছড়ানোর প্রক্রিয়া এটিকে সংক্রমণ ছড়ানোর উপযোগী করে তোলে।
**ফাঙ্গাস ছড়ানোর কারণ:**
– **স্পোর বা ছত্রাকের কণা:** ফাঙ্গাস স্পোর তৈরি করে, যা খুব হালকা এবং দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে পারে। সংক্রামিত ত্বক বা চুল থেকে এই স্পোর পড়ে সহজেই অন্যের ত্বকে লেগে যেতে পারে।
– **উষ্ণ, ঘর্মাক্ত ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ:** ছত্রাক উষ্ণ ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে। যেমন ঘর্মাক্ত ত্বক, জনসমাগমপূর্ণ স্থানের মেঝে (পাবলিক শাওয়ার বা সুইমিং পুল), বা ভেজা পোশাক।
– **আক্রান্ত ত্বকের সংস্পর্শ:** ফাঙ্গাল ইনফেকশনযুক্ত ব্যক্তির ত্বকের সঙ্গে সরাসরি শারীরিক সংস্পর্শে এলে সহজেই ছত্রাক ছড়িয়ে পড়ে।
– **নোংরা বস্তু:** ছত্রাক নোংরা তোয়ালে, জামাকাপড়, বিছানার চাদর, চিরুনি বা জুতার মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
– **ব্যক্তিগত অপরিচ্ছন্নতা:** যাঁরা ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলেন না বা নিজেদের জিনিস অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করেন, তারা ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।
**ফাঙ্গাস বা ছত্রাকের আক্রমণ ঠেকাতে যা করতে হবে:**
– ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ভাগাভাগি করবেন না।
– ত্বক শুকনো রাখতে হবে, কারণ ভেজা বা ঘর্মাক্ত পরিবেশ ছত্রাকের বৃদ্ধি বাড়ায়।
– সুইমিং পুল, জিম বা পাবলিক শাওয়ারের মতো জায়গায় নিজের ব্যক্তিগত স্যান্ডেল ব্যবহার করুন।
– শরীরের কোনো স্থান ছত্রাকে আক্রান্ত হলে হাত লাগাবেন না, যাতে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়াতে না পারে।
– ফাঙ্গাল ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি অনেক সময় কার্যকর হতে পারে। তবে গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
**ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণের উপায়:**
– এক চামচ নারকেল তেলে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান। দিনে দুবার ব্যবহার করুন।
– অ্যালোভেরা জেল আক্রান্ত স্থানে সরাসরি লাগান। এই জেল সংক্রমণ প্রশমিত করতে এবং ত্বক ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।