**শীতে তিল কেন জরুরি এবং এর উপকারিতা**
বাঙালি রান্নায় তিলের ব্যবহার খুব বেশি না হলেও শীতের সময় বাড়িতে তিলের নাড়ু বা বরফি তৈরি অনেকেরই অভ্যাস। তবে পুষ্টিবিদরা মনে করেন, শীতের এই সময়ে নিয়মিত তিল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তিল শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ায় না, এর রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। শীতকালে সংক্রমণের প্রকোপ বেড়ে যায়, তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তিল খুব কার্যকরী। সাদা তিলের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস শরীরের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ায়।
### **তিলের উপকারিতা:**
1. **রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:**
ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসে ভরপুর তিল শরীরকে শক্তিশালী করে তোলে এবং শীতকালে নানা ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
2. **ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে:**
তিলের ভালো মাত্রায় ফাইবার রয়েছে, যা বিপাকক্রিয়া উন্নত করে। এটি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী, কারণ শীতকালে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে।
3. **ত্বকের সুরক্ষা:**
শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তিলে থাকা উপাদান ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। তিলের তেল ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায় এবং শীতের শুষ্কতা থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
4. **হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে:**
সাদা তিল কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক। শীতকালে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে, তাই তিল খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
5. **হজমশক্তি উন্নত করে:**
শীতকালে অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে পেটের সংক্রমণ বা হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তিল হজমশক্তি উন্নত করে। সালাদ বা রান্নায় তিল ব্যবহার করলে পেট ভালো থাকে।
### **কেন তিলকে ডায়েটে রাখতে হবে?**
– শীতে শরীরকে উষ্ণ রাখতে।
– রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে।
– ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে।
– হৃদযন্ত্র সুরক্ষিত রাখতে।
তাই শীতের মরসুমে তিলকে অবহেলা না করে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করুন।