শীতের মৌসুম প্রায় চলে এসেছে। ভোরবেলা থেকে সকাল পর্যন্ত এবং পরে বিকেল থেকে শীতের ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করেছে। এই সময় তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সাথে সাথে বাতাসের আর্দ্রতাও হ্রাস পায়। এতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেকের জন্য বাড়তে থাকে, বিশেষ করে যারা হাঁপানিতে ভুগছেন, তাদের শ্বাসকষ্ট অনেকটা বাড়তে পারে। শীতের সময় বাতাসে ধূলিকণা বাড়ে এবং ঠান্ডা তাপমাত্রায় বিভিন্ন রোগজীবাণু যেমন নিউমোনিয়া, সর্দি, শ্বাসকষ্টের জীবাণু সক্রিয় হয়ে ওঠে, যার ফলে সংক্রমণ বাড়ে এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়।
শীতে হাঁপানি রোগীরা কিছু নিয়ম মেনে চললে উপকার পেতে পারেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর অনেকেই মাস্ক পরা বন্ধ করেছেন, তবে মাস্ক ধোঁয়া, ধুলো এবং জীবাণু সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। তাই বাড়ির বাইরে বেরোলে মাস্ক পরা উচিত।
বাইরে থেকে এসে ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে এবং ব্যাগে স্যানিটাইজার রাখতে পারেন। প্রতিদিনের খাবারে এমন সবজি ও ফলমূল রাখতে হবে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ফুসফুসের শক্তি বৃদ্ধি করে। প্রোটিনের জন্য মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, দুধ, বাদাম, শাক ইত্যাদি খাবার গ্রহণ করা উচিত। পর্যাপ্ত জল পান করতে হবে, যাতে শরীর আর্দ্র থাকে।
বয়সের মানুষের জন্য হাঁপানি বাড়লে নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নেয়া প্রয়োজন, এবং ইনহেলার অবশ্যই সাথে রাখা উচিত।
ঘনঘন দুধ, চা বা কফি খাওয়া যাবে না। বাইরে বেরিয়ে নরম পানীয়, ঠান্ডা শরবত বা আইসক্রিম এড়িয়ে চলুন। যদি শ্বাসকষ্ট হয় বা হাঁপানি শুরু হয়, তাহলে একচিমটে নুন দিয়ে ঈষদুষ্ণ জল খাওয়া যেতে পারে, এতে আরাম পাওয়া যায়।
আমলকি খাওয়া খুবই উপকারী, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা ফুসফুস থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অল্প করে তুলসির রস খেলে সর্দি-কাশি, কফ জমা হবে না। তুলসি পাতা ফুটিয়ে চা করেও খাওয়া যেতে পারে।
শ্বাসনালি ও ফুসফুস ভালো রাখতে নিয়মিত ব্রিদিং এক্সারসাইজ করা উচিত। অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের পরামর্শে অনুলোম-বিলোম, কপালভাতি করা যেতে পারে। বাড়িতে কিছু যোগাসন করলেও ফুসফুস ভালো থাকে, যা হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।