দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ২৩:৪৫

কেন আপেল, বিটরুট ও গাজর দিয়ে তৈরি এবিসি জুস পান করবেন?

আপেল, বিট এবং গাজর—তিনটি আলাদা স্বাদ ও গুণে ভিন্ন হলেও পুষ্টিগুণের দিক থেকে এরা একে অন্যকে ছাপিয়ে যায়। স্বাস্থ্যসচেতনদের তালিকায় এ তিনটি ফল ও সবজি সবসময়ই জনপ্রিয়। এই তিন উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করা হয় এক বিশেষ জুস, যা পরিচিত *‘এবিসি জুস’* নামে। নামটি এসেছে আপেল, বিটরুট এবং গাজরের ইংরেজি নামের প্রথম অক্ষর থেকে (A for Apple, B for Beetroot, C for Carrot)। আসুন, জেনে নিই এর উপকারিতা, প্রস্তুত প্রণালি এবং সতর্কতার দিকগুলো।

 

### **যেভাবে তৈরি করবেন এবিসি জুস**

 

**উপকরণ:**

– ১টি মাঝারি আকারের আপেল

– ১টি মাঝারি আকারের গাজর

– অর্ধেক বিটরুট

– ১ চা–চামচ লেবুর রস

– ১ টেবিল চামচ মধু

– ২ কাপ পানি

– সামান্য আদা (ঐচ্ছিক)

 

**প্রণালি:**

১. আপেল, গাজর ও বিটরুট ছোট ছোট টুকরো করে নিন।

২. ব্লেন্ডারে এই উপাদানগুলোর সঙ্গে ২ কাপ পানি যোগ করে ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন।

৩. মিশ্রণের সঙ্গে লেবুর রস ও মধু যোগ করে আরও কিছুক্ষণ ব্লেন্ড করুন।

৪. ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিয়ে পরিবেশন করুন।

 

### **এবিসি জুসের পুষ্টিগুণ**

এই জুস প্রতি ১০০ মিলিগ্রামে ৪৫-৫০ ক্যালোরি, ১০-১২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৮-৯ গ্রাম চিনি, এবং শূন্য দশমিক ৫ গ্রাম প্রোটিন সরবরাহ করে। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, কে এবং বিভিন্ন খনিজ যেমন আয়রন ও পটাশিয়াম।

 

### **এবিসি জুসের উপকারিতা**

 

#### **১. শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে**

এটি লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। শ্বেত রক্তকণিকা ও হিমোগ্লোবিন উৎপাদনেও এটি সহায়তা করে।

 

#### **২. ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে**

এবিসি জুসে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে নমনীয় রাখে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমায়। এটি চুলের বৃদ্ধি ও উজ্জ্বলতাও বাড়ায়।

 

#### **৩. হজমশক্তি বৃদ্ধি করে**

উচ্চ ফাইবারসমৃদ্ধ এই জুস হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

 

#### **৪. দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে**

গাজরে থাকা ভিটামিন এ চোখের ক্লান্তি কমায় এবং দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।

 

#### **৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে**

পেট ভরা রাখার কারণে এটি ক্ষুধা কমায় এবং বাড়তি ক্যালোরি গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করে।

 

### **সতর্কতা**

অতিরিক্ত এবিসি জুস পান করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। বিটরুটে থাকা শর্করা ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিক রোগী এবং অ্যালার্জির সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

 

স্বাস্থ্যকর জীবনধারার জন্য এবিসি জুস একটি চমৎকার সংযোজন। তবে এর সঠিক মাত্রা বজায় রাখলে উপকারিতা সর্বাধিক উপভোগ করা সম্ভব।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ