দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ২৩:২৪

“আবারও আটক হলেন ভুয়া নারী চিকিৎসক”

“আবারও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এক ভুয়া নারী চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ। তার নাম পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা (২২)। রবিবার (১৭ নভেম্বর) হাসপাতালে ৩য় তলায় নাক, কান ও গলা বিভাগের এক রোগীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। নুরুল আলম নামের ওই রোগী কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা। গত বুধবার মুখে টিউমারজনিত সমস্যা নিয়ে তিনি নাক, কান, গলা বিভাগে ভর্তি হন। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী কল্পনা, যিনি জানান, এক আত্মীয়ের মাধ্যমে পাপিয়া আক্তারের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। পাপিয়া নিজেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের স্টুডেন্ট এবং জুনিয়র চিকিৎসক বলে পরিচয় দেন এবং চিকিৎসকের অ্যাপ্রোনও পরিধান করতেন। কল্পনা অভিযোগ করেন, পাপিয়া তাদের অপারেশন দ্রুত করতে ৩০ হাজার টাকার চুক্তি করেছিলেন, এর মধ্যে ২৮ হাজার টাকা নেয়া হয় এবং বাকি ২ হাজার টাকা নিতে পাপিয়া তাদের ওয়ার্ডে আসেন।

 

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. ফারুক জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাপিয়াকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। পরে তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, যেখানে তদন্ত করা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

আটক পাপিয়া ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে স্বীকার করে বলেন, তিনি রোগীকে দ্রুত অপারেশন করানোর জন্য নিজেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ক-৭৮ ব্যাচের স্টুডেন্ট বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। তবে এক নারী চিকিৎসক, স্বর্ণা, তার পরিচয় সন্দেহ করলে বিষয়টি ধরা পড়ে।

 

পাপিয়া নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার নলুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা আনোয়ার হোসেন বাদল। তিনি মনোহরদীর একটি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন এবং এক বছর আগে জসিম উদ্দিন নামের এক যুবককে বিয়ে করেন। বর্তমানে বকশিবাজারে বসবাস করছেন। পাপিয়া ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেছেন।

 

এদিকে পাপিয়ার স্বামী, জসিম উদ্দীন, হাসপাতলে উপস্থিত হয়ে বলেন, ‘আমি জানতাম না কেন সে এমন কাজ করেছে। আমি মনে করতাম সে মেডিকেল স্টুডেন্ট।’ তিনি আরও জানান, তার স্ত্রী তার কাছে এ বিষয়ে কিছুই লুকিয়ে রেখেছিল।”

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ