ফুসফুস মানবদেহের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য দায়ী। তবে এই অঙ্গটি নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে, যার মধ্যে একটি গুরুতর রোগ হচ্ছে এমফাইসিমা। এমফাইসিমা হলো একটি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, যার ফলে ফুসফুসে অতিরিক্ত বাতাস জমে। এতে শ্বাসনালি ও বক্ষগ্রন্থির ক্ষতি ঘটে, ফলে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। ফুসফুসের অভ্যন্তরীণ অংশগুলি অকেজো হয়ে যায় এবং শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। এই রোগটি দ্রুত বৃদ্ধি পায় না, বরং ধীরে ধীরে তৈরি হয়।
**কারণ**:
– হাঁপানি বা অ্যাজমা রোগী হলে এমফাইসিমার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
– ক্রনিক ব্রংকাইটিসে আক্রান্তদেরও এ রোগের ঝুঁকি থাকে।
– ধূমপান হলো এমফাইসিমার প্রধান কারণ। ধূমপায়ীদের ফুসফুসে এই রোগ হওয়া সবচেয়ে বেশি সম্ভব।
– বংশগত কারণে, জীবাণু সংক্রমণ এবং পরিবেশ দূষণও এই রোগের কারণ হতে পারে।
**লক্ষণসমূহ**:
– প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট ও অল্প চলাফেরায় শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা।
– শ্বাস নেয়ার সময় গলার শিরাগুলো ফুলে ওঠা।
– পেটে ও পায়ে পানি জমা, লিভারের আকার বৃদ্ধি।
– শরীরের রঙ নীল হয়ে যাওয়া এবং রক্তশূন্যতা।
– বুকের আকৃতি পরিবর্তন হওয়া।
– রোগ জটিল আকার ধারণ করলে শ্বাসযন্ত্র ও হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
**প্রতিরোধ**:
এমফাইসিমা পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয়, তবে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। শ্বাসকষ্টের জন্য প্রাথমিকভাবে ওষুধ ব্যবহৃত হতে পারে। শ্বাস নিতে এবং ছাড়তে সতর্ক থাকা, ধূমপান ত্যাগ করা, এবং জীবাণু সংক্রমণের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।