চোখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে নিয়মিত যত্ন নেওয়ার বিকল্প নেই। যেমন ডিজিটাল ডিভাইস কম ব্যবহার করা প্রয়োজন, তেমনই পুষ্টিকর খাবার গ্রহণও জরুরি। শিশু যখন মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার খাওয়া শুরু করে, তখন থেকেই তাকে সুষম খাবার দেওয়া জরুরি। শৈশব, কৈশোর পেরিয়ে বড় হলেও এই পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস বজায় রাখা উচিত। এতে চোখের স্বাস্থ্যের জন্য দরকারি পুষ্টি উপাদান পাওয়া যাবে।
তবে, শিশুদের পুষ্টি দিতে দামি মাছ-মাংসের ওপর নির্ভর না করলেও চলে। উদ্ভিজ্জ অনেক খাবারই চোখের জন্য উপকারী। যেমন, রঙিন শাকসবজি ও ফলমূল থেকে পাওয়া যায় ভিটামিন এ। ডিমের কুসুম ও দুধও পুষ্টির ভালো উৎস। চোখের দৃষ্টি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর পুষ্টিকর খাবারে সেই ক্ষতি পূরণ করা কঠিন, বরং সঠিক চিকিৎসার প্রয়োজন। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে চোখের নানা সমস্যা প্রতিরোধ সম্ভব। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজের চক্ষু বিভাগের প্রধান ও বিশেষজ্ঞ ডা. সালমা পারভীন।
**রঙিন শাকসবজি:** প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় লালশাক, পালংশাক, মিষ্টিকুমড়া, গাজর, টমেটোর মতো গাঢ় রঙের সবজি যোগ করুন। শিশুদের যদি সবজি খেতে না চায়, তবে তা নুডলস বা স্যুপের সঙ্গে মিশিয়ে দিন।
**রঙিন ফলমূল:** পাকা আম, পেঁপে, তরমুজ ইত্যাদি রঙিন ফল ভিটামিন এ-এর ভালো উৎস। প্রতিদিন অন্তত একটি রঙিন ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। পেয়ারাও উপকারী।
**ডিমের কুসুম ও দুধ:** শিশুদের ডিমের কুসুম খাওয়ানো গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, শিশুকে প্রতিদিন দুধ দিন। শিশুর মায়ের দুধ ছাড়ার পর ‘ভিটামিন এ ফর্টিফায়েড’ দুধ দিতে পারেন। এ ছাড়া অন্য দুধের সঙ্গে ভিটামিন এ ফর্টিফায়েড কর্নফ্লেক্সও দিতে পারেন।
**ছোট মাছ:** ছোট মাছ চোখের জন্য খুবই উপকারী। দামি, বড় মাছ বা মাংসের চেয়ে ছোট মাছ থেকে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
**বাদাম ও অন্যান্য বীজ:** বাদাম ও বীজে এমন সব পুষ্টি উপাদান থাকে যা চোখের জন্য উপকারী। প্রতিদিন কিছু বাদাম বা বীজ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং শিশুদেরও উৎসাহিত করুন।