দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০৬:৪০

আর্থ্রাইটিস, পঙ্গুত্ব ও পুনর্বাসন চিকিৎসা

আর্থ্রাইটিস একটি গ্রীক শব্দ, যেখানে ‘আর্থো’ মানে ‘জোড়া’ এবং ‘আইটিস’ মানে ‘প্রদাহ’। অর্থাৎ, আর্থ্রাইটিস হল একটি জোড়ার রোগ, যা শরীরের যে কোনও জোড়ায় প্রদাহের কারণে ঘটে। মানব শরীর নিখুঁতভাবে গঠিত, এবং তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল জয়েন্ট। এই জয়েন্টের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে, যা নিয়ে আমি পরবর্তীতে আলোচনা করব। আর্থ্রাইটিস রোগটি একাধিক জয়েন্টে হতে পারে এবং এটি প্রায় শতাধিক প্রকারভেদে বিদ্যমান।

 

বাংলাদেশে সাধারণত অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, সেরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস, লুপাস, এনকাইলজিং স্পন্ডালাইটিস, জুভেনাইল আর্থ্রাইটিস, মেটাবলিক আর্থ্রাইটিস, গাউট, ফাইব্রোমায়ালজিয়া, এবং অন্যান্য প্রকারের রোগী বেশি দেখা যায়। সব বয়স, লিঙ্গ এবং সংস্কৃতির মানুষ আর্থ্রাইটিসের শিকার হতে পারে, তবে সাধারণত এটি বয়স্ক এবং মহিলাদের মধ্যে বেশি হয়।

 

আরথ্রাইটিসের সাধারণ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে ব্যথা, জয়েন্টের নড়াচড়ায় তীব্রতা বৃদ্ধি, ফুলে যাওয়া, গরম অনুভূতি, দৈনন্দিন কার্যকলাপে অসুবিধা, জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া, ত্বকের রঙের পরিবর্তন, জ্বর, ক্লান্তি, হতাশা এবং অনিদ্রা। এসব সমস্যা চলতে থাকলে রোগী তার জয়েন্টের কার্যক্ষমতা হারাতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে পঙ্গুত্বে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

 

জয়েন্ট ও আক্রান্ত অঙ্গ বাঁকা হতে পারে এবং শরীরের পেশী শুকিয়ে যেতে পারে। এই রোগের ফলে রোগীর দৈনন্দিন জীবনযাপনে বিভিন্ন অসুবিধার সৃষ্টি হয়। সুতরাং, আর্থ্রাইটিস দ্রুত শনাক্ত করা এবং চিকিৎসা শুরু করা জরুরি।

 

রিহ্যাবিলিটেশনের মূল লক্ষ্য হল রোগীর শারীরিক কষ্ট কমানো এবং পঙ্গুত্বের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করা। যদি কেউ এ জাতীয় সমস্যায় ভোগেন, তবে একজন রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা যেমন রক্ত পরীক্ষা, সেরোলজি, এক্সরে ইত্যাদি করতে পারেন।

 

আরথ্রাইটিসের চিকিৎসায় কিছু ঔষধ যেমন ব্যথানাশক, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হতে পারে। ফিজিওথেরাপি এবং পুনর্বাসন কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি, যা রোগীর ব্যথা হ্রাসে এবং স্বাভাবিক চলাফেরায় সাহায্য করে।

 

ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আর্থ্রাইটিসের সমস্যা বাড়তে পারে, তাই ঠান্ডা থেকে দূরে থাকা উচিত। কুসুম গরম পানিতে সেক করা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা এই রোগের চিকিৎসায় সহায়ক। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং খাদ্য তালিকায় ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।

 

সঠিক জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে আর্থ্রাইটিসের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট