দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০৬:২২

মৃগী রোগ সম্পর্কে কিছু তথ্য:

বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষ মৃগী রোগে আক্রান্ত। এই রোগের একটি প্রধান লক্ষণ হলো খিঁচুনি, যা মস্তিষ্কে আকস্মিক এবং অনিয়ন্ত্রিত বৈদ্যুতিক স্পন্দনের কারণে ঘটে। খিঁচুনির সময় রোগীর চেতনা লোপ পায়, হাত-পা সঙ্কুচিত হয়ে যায় এবং শরীর কঠিন হয়ে যায়। পাশাপাশি, মুখ থেকে ফেনা বের হওয়া, জিভে কামড়ানো এবং অনিচ্ছাকৃত প্রস্রাব ও মলত্যাগের ঘটনা ঘটে। এই অবস্থাকে কনভালসিভ ফিটস বলা হয়।

 

যদি কোনো ব্যক্তির দুই বা তার বেশি অপ্রত্যাশিত সিজার বা খিঁচুনি ঘটে, তবে তাকে মৃগী রোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। খিঁচুনির পাশাপাশি, রোগীরা মাঝে মাঝে সবকিছু শূন্য মনে করা, মেজাজের ওঠানামা এবং আকস্মিকভাবে হাত-পায়ে টান বা অবশ অনুভব করতে পারেন।

 

মৃগী রোগীদের জন্য কিছু সতর্কতা পালন করা উচিত। খিঁচুনি যদি বারবার হয়, তবে তাদের কিছু স্থানে যাওয়া থেকে বিরত রাখা উচিত, যেমন উন্মুক্ত আগুনের কাছে, চলমান যন্ত্রপাতির সামনে বা উচ্চ স্থানে উঠতে নিষেধ করা হয়। সাঁতার কাটার অনুমতি থাকলেও, অন্য কারও উপস্থিতিতে বা সাহায্যে তা করা উচিত।

 

মৃগী রোগ সাধারণত মস্তিষ্কের নানা সমস্যা থেকে ঘটে এবং এর প্রকাশ ও চিকিৎসা ভিন্ন হতে পারে। মৃগী রোগী নারীদের গর্ভধারণের ক্ষেত্রে ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে থাকা জরুরি। এ সময়, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধের মাত্রা নির্ধারণ করতে হয়।

 

যদি খিঁচুনি ১০-১৫ মিনিট স্থায়ী হয়, তাহলে তাৎক্ষণিক সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে। শিশুর ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের এমআরআই ও ইইজি করতে হবে এবং যথাসময়ে ওষুধ গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট