হলুদ দুধ বহু শতাব্দী ধরে আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং এটি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। দুধ একটি সুষম খাদ্য, আর হলুদ হলো আয়ুর্বেদের শ্রেষ্ঠ অ্যান্টিবায়োটিক। এর ফলে, এই হলুদ দুধ ঠাণ্ডা, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং অন্যান্য নানা রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে। হলুদে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য এটিকে সুপারফুডের মর্যাদা দেয়।
তবে, এই জাদুকরী পানীয় সবার জন্য উপকারী নয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কিছু মানুষের জন্য হলুদ দুধ খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কাদের জন্য হলুদ দুধ পান করা উচিত নয়।
### গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলুন
হলুদ দুধ সাধারণত স্বাস্থ্যকর মনে করা হলেও, গর্ভবস্থায় এটি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, হলুদ জরায়ুকে সংকুচিত করতে পারে, যা জরায়ুতে ক্র্যাম্প ও ব্যথার কারণ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন হলুদ দুধ পান করলে রক্তপাতের ঝুঁকিও বাড়তে পারে, বিশেষ করে যাদের রক্তপাতের সমস্যা আছে।
### ডায়রিয়া ও বমি বমি ভাব
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, হলুদে থাকা কারকিউমিন নামক উপাদানটি কিছু মানুষের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যারা নিয়মিত হলুদ দুধ পান করেন, তারা ডায়রিয়া বা বমির মতো সমস্যায় পড়তে পারেন। কারকিউমিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলেও, এটি পেটের আস্তরণকে জ্বালাতন করতে পারে, যার ফলে জ্বালাপোড়া, ডায়রিয়া এবং বমি বমি ভাবের সৃষ্টি হতে পারে।
### আয়রনের অভাব
প্রতিদিন হলুদ দুধ পান করলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি হতে পারে। হলুদ দুধে উপস্থিত উপাদানগুলি আয়রন শোষণে বাধা দেয়, ফলে যারা বেশি পরিমাণে হলুদ দুধ পান করেন, তাঁদের শরীরে আয়রনের অভাব দেখা দিতে পারে।
### লিভার সম্পর্কিত সমস্যা
যদিও হলুদ দুধকে স্বাস্থ্যকর হিসেবে দেখা হয়, তবে যারা লিভার সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য এটি ক্ষতিকারক হতে পারে। হলুদে থাকা কারকিউমিন লিভারের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, তাই লিভার সমস্যা থাকলে হলুদ দুধ খাওয়া এড়ানো উচিত।
এছাড়া, হলুদ দুধ খাওয়ার ফলে কারো কারো হজমের ব্যাঘাত, অ্যাসিডিটি ও ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।