দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ২২:৫০

প্রতিদিন চিয়া সিড খাওয়া কি সঠিক?

### স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের মধ্যে চিয়া সিডের জনপ্রিয়তা

 

চিয়া সিড, সালভিয়া হিসপনিকা নামক মিন্ট বা পুদিনা প্রজাতির উদ্ভিদের বীজ, মূলত মধ্য আমেরিকা ও মেক্সিকোর মরুভূমি অঞ্চলে জন্মায়। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে চিয়া সিড বর্তমানে একটি জনপ্রিয় খাবার হয়ে উঠেছে, কারণ এতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ। চিয়া সিডে প্রচুর ফাইবার রয়েছে, যা পানিতে ভিজে গেলে ফুলে যায় এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে বারবার খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়, যা ওজন কমাতে সহায়ক। তবে, মেদ কমাতে চিয়া সিডের সরাসরি ভূমিকা রয়েছে কি না, তা এখনও নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয়নি।

 

এই বীজে ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফসফরাসের মতো নানা পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান। চিয়া সিডের ওমেগা-৩ হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং হজমে সাহায্য করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, অতিরিক্ত চিয়া সিড গ্রহণ প্রস্টেট এবং স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

 

অনেকেই প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে চিয়া সিড খেয়ে থাকেন, তবে এর জন্য প্রতিদিন খাওয়া আদর্শ নয়। এক বা দুই দিন বিরতি দিয়ে খাওয়া ভালো। অতিরিক্ত চিয়া সিড গ্রহণ করলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

 

চিয়া সিড টানা দুই সপ্তাহের বেশি খাওয়া ঠিক নয়। আঁশজাতীয় খাবার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হলেও, অতিরিক্ত আঁশ খেলে পেটব্যথা, গ্যাস, হজমের সমস্যা বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। চিয়া সিড বেশি খেলে শরীরে পানির ঘাটতি হতে পারে, তাই এটি খাওয়ার সময় পর্যাপ্ত পানি পান করাও জরুরি।

 

এছাড়া, চিয়া সিড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, কিন্তু অতিরিক্ত খেলে প্রেসার লো হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যাঁরা ব্লাডপ্রেশারের ওষুধ খান, তাঁদের চিয়া সিড গ্রহণে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, কারণ এটি ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করতে পারে। ডায়াবেটিক রোগীদেরও এটি বেশি খাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে। কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিয়া সিড খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

 

অতএব, চিয়া সিডের প্রতি ১০০ গ্রামে ৪৮৬ ক্যালরি বিদ্যমান, তাই এটি আপনার ডায়েটে যোগ করার ক্ষেত্রে ক্যালরির হিসাব রাখতে হবে।

 

**সাজিয়া মাহমুদ**

কনসালট্যান্ট পুষ্টিবিদ, প্যান কেয়ার হাসপাতাল

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ