কিংবদন্তি ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চুর চলে যাওয়ার ছয় বছর আজ। ২০১৮ সালের এ দিনে সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে পাড়ি জমিয়েছিলেন এই গিটার লিজেন্ড। ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। গানকে ভালোবেসে ১৯৭৭ সালে তাঁর সংগীত জীবন শুরু করেন এবং এক বছর পরই ব্যান্ড জগতে প্রবেশ করেন। ১৯৮০ সালে তিনি সোলস ব্যান্ডে যোগ দেন এবং ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এই দলের সঙ্গে যুক্ত থাকেন।
এরপর ১৯৯১ সালে তিনি ‘লাভ রানস ব্লাইন্ড’ (এলআরবি) নামক ব্যান্ড গঠন করেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি এই দলের প্রধান ভোকাল হিসেবে কাজ করেন। তাঁর প্রথম গাওয়া গান ছিল ‘হারানো বিকেলের গল্প’ এবং প্রথম একক অ্যালবাম ‘রক্তগোলাপ’। তবে তাঁর ক্যারিয়ারের সফলতা আসে দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘ময়না’র মাধ্যমে।
বাংলাদেশের ব্যান্ড মিউজিককে উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যেতে আইয়ুব বাচ্চু ও এলআরবির অবদান অপরিসীম। বিশেষ করে নব্বই দশকে একের পর এক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়ে ব্যান্ডটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। একক ক্যারিয়ারে তিনি ব্যাপক সফলতা লাভ করেন এবং তাঁর গানের অ্যালবামগুলো বিক্রির শীর্ষে ছিল। ৪০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য গান ভক্তদের উপহার দিয়েছেন তিনি, যার মধ্যে ১২টি ব্যান্ড, ১৬টি একক এবং বহু মিশ্র অ্যালবাম অন্তর্ভুক্ত।
চলচ্চিত্রের গানে তাঁর সফলতা উল্লেখযোগ্য। তাঁর কিছু জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে—‘চলো বদলে যাই’, ‘এই রূপালি গিটার ফেলে’, ‘ফেরারী মন’, ‘হাসতে দেখো’, ‘বাংলাদেশ’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘আসলেও কেউ সুখী নয়’, ‘একদিন ঘুম ভাঙা শহরে’, ‘উড়াল দেবো আকাশে’, ‘মেয়ে’, ‘মাধবী’ প্রভৃতি।
২০১৮ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সবাইকে কাঁদিয়ে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। জীবনের সব আয়োজন ফেলে দরজার ওপাশে চলে গেলেও, তিনি রেখে গেছেন কোটি ভক্তের অশ্রুসিক্ত চোখ ও হৃদয়ে তাঁর অমলিন স্মৃতি।