ঈদুল আজহায় মুক্তি পায় শাকিব খান, মিমি চক্রবর্তী ও নাবিলা অভিনীত ‘তুফান’ ছবিটি, যা মুক্তির পরপরই দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এর আগে ২৬ জুন, রায়হান রাফী পরিচালিত এই ছবির ‘দুষ্টু কোকিল’ গানটি দুটি ইউটিউব চ্যানেলে অফিশিয়ালি মুক্তি পায়।
মুক্তির পর ‘দুষ্টু কোকিল’ বাংলা সিনেমার গানে নতুন রেকর্ড গড়েছে। মাত্র দুই মাসের মধ্যে দুটি চ্যানেলে গানটির ভিউ সংখ্যা ২০ কোটি অতিক্রম করেছে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত চরকি ইউটিউব চ্যানেলে গানটির ভিউ ছিল ১৩৮ মিলিয়নের ওপরে, এবং এসভিএফ চ্যানেলে ৬৭ মিলিয়নের ওপরে। মোট ভিউ ২০৫ মিলিয়ন, অর্থাৎ ২০ কোটি ৫০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
এই সাফল্য ইউটিউবে বাংলা সিনেমার গানে নতুন একটি মাইলফলক। গানটি গেয়েছেন দিলশাদ নাহার কনা এবং কলকাতার আকাশ সেন। গানের গীতিকার ও সুরকারও আকাশ সেন।
গানটি দর্শকদের এত ভালো লাগায় শিল্পী কনা উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, ‘এটি সত্যিই আনন্দের খবর। আমাদের সংগীতাঙ্গন অনেক দিন ধরেই ভালো নেই। এর মধ্যে এই গান বাংলা সিনেমার গানে নতুন মাত্রা দিয়েছে। যদিও মুক্তির আগে গানটি নিয়ে তেমন কোনো প্রত্যাশা ছিল না আমার। কারণ, গানটি প্রায় এক বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল। সিনেমার শুটিংয়ের আগে পরিচালক রায়হান রাফী গানটি শুনে পছন্দ করেন, পরে দর্শকও লুফে নেয়।’
তবে এই আনন্দের মুহূর্তে কনার মন ভালো নেই। তিনি বলেন, ‘সময়টা ভালো নয়। এক মাসের বেশি সময় ধরে ছাত্র-জনতার আন্দোলন হয়েছে, বহু মানুষ মারা গেছেন। ভাবলে খুব কষ্ট লাগে। এর পর দেশের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। মানুষ ঘরবাড়ি, জমিজমা, গবাদিপশু হারিয়ে দিশেহারা। এসব কারণে গানবাজনায় মন দিতে পারছি না। বলতে পারেন, এমন আনন্দের খবরে নিজের মধ্যে বিষাদ কাজ করছে।’
গানটির সাফল্য নিয়ে আকাশ সেন মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতা থেকে হোয়াটসঅ্যাপে প্রথম আলোকে জানান, ‘এটি খুবই ভালো লাগার বিষয়। এত অল্প সময়ে সিনেমার গানে এমন বড় অর্জন। এটি কোনো আইটেম গান নয়, বরং সুন্দর একটি মেলোডি।’
শাকিব খানের জনপ্রিয়তাকেও গানটির দ্রুত সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন আকাশ। তিনি বলেন, ‘মিমির সঙ্গে গানটির মধ্যে শাকিব খান ছিলেন। যেখানে শাকিব খান থাকেন, সেখানে দর্শকদের আলাদা এক মধুর চাপ তৈরি হয়। শাকিব খানের একটি পাওয়ার আছে। এই ভিউ আরও বাড়ুক, নতুন ইতিহাস হোক সিনেমার গানের।’