কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে অসহযোগ আন্দোলনে রূপ নিয়ে গণপ্রতিরোধের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। তার ক্ষমতাচ্যুতির পর আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ নেতাকর্মীরা আড়ালে চলে যান। একইসঙ্গে খোঁজ মিলছে না অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদেরও, যিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার সাত মাস পর এমপি পদ হারান।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে ফেরদৌসও আড়ালে চলে গেছেন। কোথায় তিনি আছেন, তা নিয়ে কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তবে গুঞ্জন উঠেছে যে, ওপার বাংলার অভিনেত্রী ও ফেরদৌসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তার কাছে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে তাদের একটি ছবি শেয়ার করে বিষয়টি প্রচার করা হচ্ছে।
এই গুঞ্জনের প্রেক্ষিতে ঋতুপর্ণা মুখ খুলেছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমার কানেও খবরটা এসেছে। আমাদের একটি ছবি দিয়ে এই খবর ছড়ানো হচ্ছে। ছবিটা কয়েকদিন আগে একটি শোতে তোলা হয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “ফেরদৌস আমার খুব ভালো বন্ধু, এটা সবার জানা। ঢাকায় গেলে আমি ওর বাসায় যাই, আর সে কলকাতায় এলে আমার বাসায় আসে। তবে সত্যি বলতে, এ ঘটনার পর আমাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়নি।”
ফেরদৌসের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তিনি জানান, “আমি জানি না ফেরদৌস এখন কোথায় আছে বা সে দেশ ছেড়েছে কিনা। আমি শুধু চাই যে সে ভালো ও সুস্থ থাকুক। ফেরদৌস একজন ভালো মানুষ, একজন বড় তারকা এবং তার হৃদয়টা খুবই সুন্দর। নির্বাচনের সময়ও সে বলেছিল, ‘আমি ভালো কাজ করতে চাই, মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে চাই।’ তার দেশে এখন ভিন্ন পরিস্থিতি চলছে। আমি আশা করছি, ফেরদৌস নিরাপদে এবং ভালো আছে।”
ফেরদৌস ১৯৯৮ সালে বাসু চ্যাটার্জির পরিচালিত যৌথ প্রযোজনার ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমায় অভিনয় করে আলোচনায় আসেন এবং ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেতা’ হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এরপর তিনি কলকাতার অনেক সিনেমায় কাজ করেছেন এবং ঋতুপর্ণার সঙ্গে জুটি বেঁধে একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তাদের বন্ধুত্ব কাজের সূত্রে গড়ে ওঠে এবং তারা একে অপরের বাসায় আতিথ্য গ্রহণ করেন।