গত বছর ‘কথা ক’ গান দিয়ে আলোচনায় চলে আসেন র্যাপ সংগীতশিল্পী সেজান। জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করে গানটি। এরপর দেশ-বিদেশের ভক্তরা তরুণ এই র্যাপারের গান নিয়ে প্রশংসা করেন। গত ডিসেম্বরে প্রথম আলোকে সেজান জানিয়েছেন, নতুন অ্যালবামের কাজ চলছে। অবশেষে মুক্তি পেয়েছে তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত অ্যালবাম। এ অ্যালবামের কয়েকটি গান ইউটিউবে প্রকাশ করেছেন গায়ক, মুক্তির পর থেকেই গানগুলো পছন্দ করেছেন তাঁর ভক্ত-অনুসারীরা।
গত ২৫ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে সেজানের নতুন অ্যালবাম ‘লাল বাত্তি’। অ্যালবামের প্রচ্ছদের ছবি প্রকাশ করে সেজান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বহুল প্রতিক্ষীত “লাল বাত্তি” অ্যালবামটি অবশেষে এসেছে। আমরা অনেক দিন ধরেই অ্যালবামটির কাজ করছিলাম।’ পোস্ট করা প্রচ্ছদের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নতুন অ্যালবামে গান রয়েছে মোট ১০টি। লালের আবহে তৈরি পোস্টারে রয়েছে একটি ধারালোর কুড়ালের ছবি। গানে গানে যে প্রতিবাদ জানাতে চেয়েছেন শিল্পী, এটা হয়তো তারই প্রতীক।
এর মধ্যে অ্যালবামের টাইটেল গান ‘লাল বাত্তি’ ও ‘গঙ্গা’ মিউজিক ভিডিও আকারে প্রকাশ করছেন শিল্পী। সেজানের চ্যানেলে মুক্তির পর গানগুলো চলে এসেছে ট্রেন্ডিংয়ে। আজ সকালে ‘গঙ্গা’ গানটি রয়েছে ট্রেন্ডিংয়ের ১৫ নম্বরে, ‘লাল বাত্তি’ রয়েছে ১৮-তে। দুটি গানেই সমসাময়িক নানা অসংগতি নিয়ে কথা বলেছেন সেজান। ‘চোক্ষে চাইলেই বুঝন যায় কি আসে কার মনে’ গানে এমন কথা শুনে অনেকেই মন্তব্য করেছেন, ‘এবার সেজানের গান যেন আরও ধারালো হয়ে উঠেছে।’
গত ২৫ জানুয়ারি ইউটিউবে আসে ‘লাল বাত্তি’। আজ সকাল পর্যন্ত গানটির ভিউ ১ লাখ ৪২ হাজারের বেশি। মন্তব্যের ঘরে একজন লিখেছেন, গানের প্রতিটি কথা মনের ভেতর গেঁথে থাকে। আরেকজন লিখেছেন, ‘সেজান ভাইয়ের গান যেন আগুন।’ সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন আগুনের ইমোজি।
২৫ জানুয়ারি আসা ‘গঙ্গা’ গানটিও দারুণ পছন্দ করেছেন ভক্তরা। আজ সকাল পর্যন্ত গানটির ভিউ ১ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি। এ গান শুনে মন্তব্যে ঘরে একজন লিখেছেন, ‘অনেক দিন ধরে নতুন গানের অপেক্ষা করছিলাম। অপেক্ষা পুরোপুরি সার্থক।’
‘কথা ক’ দিয়ে আলোচনায় আসার পর গত বছর বেশ কয়েকটি কনসার্টে অংশ নেন সেজান। বছরের শেষের দিকে নাম লেখান সিনেমার গানে। ‘এই শহর স্বার্থপর’ গানটি বানানো হয়েছে ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমার জন্য। সেজান একা নন, আহমেদ হাসান সানিও আছেন গানটিতে। এই শহরের অর্থাৎ মহানগর ঢাকার নিম্নমধ্যবিত্তদের বঞ্চনা আর বৈষম্যের শব্দে সাজানো হয়েছে গানের কথা।
চলতি বছর সেজান ও আরেক র্যাপার হান্নানকে পাওয়া যায় বইয়ের পাতায়। সপ্তম শ্রেণির ‘ইংলিশ ফর টুডে’ বইয়ে আলোচিত দুই তরুণ র্যাপার সেজান ও হান্নানের নাম এসেছে। বইয়ের ‘আ নিউ জেনারেশন’ অধ্যায়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তাঁদের গানের ভূমিকা কথা তুলে ধরা হয়েছে।