দ্যা নিউ ভিশন

এপ্রিল ১০, ২০২৫ ২২:২১

নকশীকাঁথার জমিন: প্রয়োজনীয় ও সময়োপযোগী সিনেমা

‘নকশী কাঁথার জমিন’ সিনেমার দৃশ্য। নির্মাতার সৌজন্যে

কাঁথায় স্বপ্ন আঁকছিল দুই বিধবা, যে কাঁথাটিই হয়ে উঠবে নকশিকাঁথা। হঠাৎ করে ঝড় এল, উড়িয়ে নিয়ে যেতে চাইল নকশিকাঁথা। সাদা শাড়ি পরা দুই নারী প্রাণপণে সেই ঝড় ঠেকানোর চেষ্টা করছে। জীর্ণ দরজায় খিল এঁটে দিয়ে ঝড় থেকে বাঁচানোর সে এক আপ্রাণ চেষ্টা। শেষ পর্যন্ত ঝড় থামল, নকশিকাঁথায় স্বপ্ন আঁকা হতে থাকল। রক্তাক্ত জমিনে আবার ফুটে উঠতে থাকল জীবন।

বাংলার ইতিহাসটাও তা-ই। সেই ইতিহাসের একটা বড় জায়গাজুড়ে আমাদের একাত্তর, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। অতীতের অনেক যুদ্ধ আমরা দেখিনি, কিন্তু একাত্তরে আমাদের দর্শক হওয়ার উপায় ছিল না, হয় পক্ষ হতে হয়েছে অথবা বিপক্ষ। সেই পক্ষ-বিপক্ষের যুদ্ধে ভাইয়ে-ভাইয়ে যুদ্ধ হয়েছে। কখনো দুই পক্ষই নিহত হয়েছে। কেউ পেয়েছে বীরের মর্যাদা, কেউ বিশ্বাসঘাতকের।

কিন্তু নারী বহন করে চলে সব অতীত, সব বেদনা, সব গ্লানি। নারীর সেই দুঃসহ দিনের কাহিনি নিয়েই হাসান আজিজুল হক রচনা করেছিলেন ‘বিধবাদের কাহিনি’। সেখান থেকেই চলচ্চিত্রকার আকরাম খান নির্মাণ করেছেন ‘নকশীকাঁথার জমিন’। আগেও তিনি এই কালজয়ী লেখকের গল্প নিয়ে নির্মাণ করেছিলেন ‘খাঁচা’। আকরাম চলচ্চিত্রের একটা অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে হাসান আজিজুল হককে বোঝেন। সে জন্য গল্পটা তিনি অবিকল রাখেন না। চরিত্রের সঙ্গে মেশান বাংলার প্রকৃতি, মানুষের জীবনযাপনের চিত্র। এই ছবিতে যেমন প্রকৃতিকে অনায়াসেই এনেছেন তিনি। মেঘ, বৃষ্টি, বিলে ফুটে ওঠা শাপলা, শীতের সকালের কুয়াশা, পূর্ণিমার চাঁদ আর তার সঙ্গে ফুটে উঠেছে মানুষের নৃশংসতা, হত্যা, রক্তাক্ত প্রকৃতি, নির্দয়তা এবং সবশেষে মুক্তির আকুতি।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ছাত্রদলের অনুষ্ঠানে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি, ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আশা

ছাত্রশিবির, ছাত্রদলসহ যাঁরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী