শাকিব খান দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি বর্তমানে দেশসেরা চিত্রনায়ক হিসেবে পরিচিত এবং তাকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়, যেমন: কিং খান, নাম্বার ওয়ান, ঢালিউড কিং, ভাইজান, রাজকুমার। অনেক ভক্ত তাকে মেগাস্টার বলেও সম্বোধন করেন।
২০০৭ সাল থেকে শাকিব খান একাই ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রির ভার কাঁধে বহন করছেন। শুধু দেশের চলচ্চিত্রেই নয়, ভারতীয় সিনেমাতেও অভিনয় করে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।
শাকিব খানের ক্যারিয়ারের রজত জয়ন্তী ইতিমধ্যে পার হয়ে গেছে। ১৯৯৯ সালে তিনি প্রথম ‘সবাই তো সুখী হতে চায়’ নামের একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন। আফতাব খান টুলু পরিচালিত এ সিনেমার মাধ্যমে তিনি প্রথমবার ক্যামেরার সামনে আসেন। তবে, তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ছিল ‘অনন্ত ভালোবাসা’, যা ১৯৯৯ সালের ২৮ মে মুক্তি পায়। এর পর থেকে শাকিব খান আর পেছনে তাকাতে হয়নি। শোবিজ ও ভক্তমহলে তিনি প্রশংসা ও সমালোচনা দুইই পেয়েছেন। তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রায়ই নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়। ক্যারিয়ারের স্বার্থে তিনি তার ব্যক্তিগত জীবন, সংসার ও সন্তানকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে চেয়েছেন।
সম্প্রতি দেশের বন্যা পরিস্থিতিতে শোবিজের তারকা শিল্পীরা ত্রাণ নিয়ে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ালেও শাকিব খানের নীরবতায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন এবং সমালোচনা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক নেটিজেন তাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, “আপনি শুধু টাকাই ইনকাম করে যান। আর কিছু ভাবতে হবে না!” অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, “দেশের চরম দুঃসময়ে ঘুমিয়ে আছেন ঢালিউড কিং শাকিব খান। এভাবে সব সময় দেশের বিপদে ঘুমিয়ে থাকুন।” আরেকজন অনুরোধ করেছেন, “প্রিয় খান সাহেব, বন্যা বা বানভাসিদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি, ভক্ত হিসেবে এটুকু অনুরোধ।”
বন্যায় নীরব থাকলেও শাকিব খান সিনেমার প্রচারণায় সক্রিয় আছেন। সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় তার ‘তুফান’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে, এবং তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর প্রচারণা চালাচ্ছেন। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তির অপেক্ষায় আছে শাকিব খানের ‘দরদ’ সিনেমাটি, যা বাংলাদেশসহ ভারত ও বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন পরিচালক অনন্য মামুন।