“গত প্রায় তিন দশক ধরে নির্মাণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পরিচিত নাম হলো ‘ছবিয়াল’, যার প্রতিষ্ঠাতা বরেণ্য নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এই ব্যানারেই তিনি নির্মাণ করেছেন বিজ্ঞাপন, নাটক ও সিনেমা। ১৯৯৮ সালে ছবিয়ালের মাধ্যমে ফারুকীর প্রথম নির্মাণ ‘ওয়েটিং রুম’ প্রকাশ পায়, কিন্তু সে সময় কোনো টিভি চ্যানেল এই ফিকশনটি নিতে চায়নি। ২৫ বছরে এসে চিত্র সম্পূর্ণ বদলে গেছে এবং ফারুকীর নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্রকারের তকমা।
এটি সহজ পথ ছিল না, এখনও নেই। পাশাপাশি ছবিয়াল আরও একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে—ফারুকীর সঙ্গে তরুণ নির্মাতাদেরও তৈরি করা। যারা একসময় ছবিয়ালে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন, তারা এখন নিজেদের নামে খ্যাতি অর্জন করেছেন। অনেকেই তাঁদের ‘ভাই বেরাদর’ নামে চেনেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন রেদওয়ান রনি, আশুতোষ সুজন, শরাফ আহমেদ জীবন, আশফাক নিপুণ, ইফতেখার আহমেদ ফাহমী, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ ও আদনান আল রাজীব।
ছবিয়ালের উল্লেখযোগ্য ফিকশন ও ধারাবাহিক নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘আয়শা মঙ্গল’, ‘প্রত্যাবর্তন’, ‘কানামাছি’, ‘চড়ুইভাতি’, ‘৬৯’, ‘৫১ বর্তী’ ও ‘৪২০’। সিনেমার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘ব্যাচেলর’, ‘টেলিভিশন’, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’, ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’, ‘ডুব’ এবং ‘পিঁপড়াবিদ্যা’।
ছবিয়ালের ২৫ বছর পূর্তিতে দর্শকদের উদ্দেশে ফারুকী বলেন, ‘২৫ বছর ধরে দর্শকদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে আমি বড় হয়েছি। আমার সিনেমাগুলো সময়ের সঙ্গে কথা বলে, দর্শকের সঙ্গেও কথা বলে এবং এই কথোপকথনের মাধ্যমেই আমরা বড় হচ্ছি, বুড়ো হচ্ছি। দর্শকরা আমাদের ভালোবাসলে আমরা টিকে থাকব।’
২৫ বছর পূর্তির এই উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে ফারুকীসহ তাঁর সহকারী পরিচালকরা এবং তাদের সহকারী পরিচালকরাও উপস্থিত ছিলেন। এই সময় সবাই মিলিয়ে একটি আনন্দময় সন্ধ্যা কাটান এবং পরম্পরাকে সম্মান জানিয়ে নিজেদের পরিবারসহ উদযাপন করেন।”