২১তম ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পেলেন চলচ্চিত্র পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম এবং চলচ্চিত্র সাংবাদিক আলাউদ্দীন মাজিদ। ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল দুপুরে চ্যানেল আই-এর স্টুডিওতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের সূচনা করেন শিশুসাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে। ফজলুল হকের কর্মজীবন নিয়ে আলোচনা করেন লেখক এবং দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, রন্ধনবিদ কেকা ফেরদৌসী, অভিনেতা-নির্মাতা আফজাল হোসেন, চলচ্চিত্র প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান, এবং চলচ্চিত্র পরিচালক আবদুল লতিফ বাচ্চু।
বক্তারা তরুণ সমাজের কাছে ফজলুল হককে পরিচিত করার জন্য নতুন উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদ দেন। মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, “আমরা বীরদের সম্মান জানাতে ভুলে গেছি। জীবদ্দশায় সম্মান দিলে সেটি তাদের জানার সুযোগ হয়। মৃত্যুর পরে কথা বলার কিছুই নেই।” তিনি বলেন, ফজলুল হক একজন বিরল প্রতিভার মানুষ ছিলেন এবং তার অবদান পাঠ্যবইয়ে লিপিবদ্ধ হলে তা শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক হবে।
রন্ধনবিদ কেকা ফেরদৌসী বলেন, “ফজলুল হককে ভুলে যাওয়া যাবে না। প্রতিটি টিভি চ্যানেলকে তার জন্ম বা মৃত্যুবার্ষিকীতে তার নিয়ে তৈরি ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের অনুরোধ জানাই।” উল্লেখ্য, ফজলুল হক ছিলেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সাংবাদিকতার পথিকৃৎ এবং প্রথম চলচ্চিত্রবিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’র সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট’ নির্মাণ করেছিলেন। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘ফজলুল হক স্মৃতি কমিটি’ ২০০৪ সাল থেকে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে, যা প্রবর্তন করেছিলেন প্রখ্যাত লেখক রাবেয়া খাতুন।