দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ২১:৫০

পেনশন পাচ্ছেন না ৬৮ হাজার শিক্ষক, ভুগছেন কষ্টে

**পেনশন অনিশ্চয়তায় ৬৮ হাজার শিক্ষক, দুর্ভোগের শেষ নেই**

 

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে এবং বরাদ্দের অভাবে চার বছর ধরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ৬৮ হাজার শিক্ষকের পেনশন আবেদন। সমাধানে প্রয়োজন ৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি। অবসর সুবিধা বোর্ড পুনর্গঠনের দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষক নেতারা। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাঁরা জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন, আজ তাঁদের বৃদ্ধ বয়সে দুর্দশার শিকার হতে হচ্ছে। এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা পেনশন পেতে গিয়ে অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বছরের পর বছর ধরে তাঁদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে। টাকা না পেয়ে অনেকেই চিকিৎসা করাতে পারছেন না, আর্থিক সংকটে পড়ে হাজারো পরিবার অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে।

 

আইন অনুযায়ী, অবসর নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে পেনশন সুবিধা দিতে হবে, কিন্তু বাস্তবে ৬৮ হাজার আবেদন এখনও নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, পর্যাপ্ত বরাদ্দের অভাবে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন আবেদনকারীদের ভাতা পরিশোধের জন্য।

 

শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধার গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আটকে আছে। সম্প্রতি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব পদত্যাগ করেছেন এবং অবসর বোর্ডের সচিব পলাতক রয়েছেন, ফলে সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে।

 

রাজধানীর নীলক্ষেতে অবসর সুবিধা বোর্ডের সামনে প্রতিদিন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিক্ষকরা আসছেন তাঁদের প্রাপ্য সুবিধা নিতে। কিন্তু তাঁরা টাকা না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরছেন। অনেকেই বছরের পর বছর ধরে আবেদন করে টাকা পাননি।

 

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ সুবিধা প্রদান করে দুটি প্রতিষ্ঠান। একদিকে যেখানে কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সুবিধা দেওয়া হয়, অন্যদিকে অবসর সুবিধা বোর্ড। প্রতিবছর গড়ে ১২ লাখ টাকা পেনশন পান শিক্ষকরা, অথচ প্রতিবছর ৫০৪ কোটি টাকার ঘাটতি হয়।

 

শিক্ষক নেতারা অভিযোগ করেছেন, সরকারের অদূরদর্শী অর্থনীতি এবং ব্যাংক লুটের কারণে আজকের এই পরিস্থিতি। তাঁরা সরকারের কাছে দ্রুত পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।

 

অবশেষে, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমাতে অনলাইনে পেনশন আবেদন এবং অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, কিন্তু বাস্তবতায় সমস্যা সমাধানে তা এখনও কার্যকর হয়নি।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ