দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০১:০২

এইচএসসি পরীক্ষার পাসের হার কমেছে, এবং এর প্রধান কারণ ইংরেজি।

স্থগিত হওয়া বিষয়গুলোর পরীক্ষা আন্দোলনের কারণে বাতিল হওয়ায় এবারের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফলাফল ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যায়িত হয়েছে। বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর মূল্যায়ন করা হয়েছে পরীক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে (বিষয় ম্যাপিং)। অন্যদিকে, যে কটি বিষয় পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলোর উত্তরপত্রের ভিত্তিতে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়েছে। এই দুটি মূল্যায়ন মিলে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করা হয়েছে।

 

অনেকে ধারণা করেছিলেন, এই প্রক্রিয়ায় পাসের হার বেড়ে যাবে। কিন্তু নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার গতবারের তুলনায় কমেছে। তবে ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ বেড়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের মতে, পাসের হার কমে যাওয়ার প্রধান কারণ ইংরেজি বিষয়ের ফলাফল। বাধ্যতামূলক ইংরেজি বিষয়ে পাসের হার অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় কম। সিলেট বোর্ড বাদে বাকি আটটি শিক্ষা বোর্ডে গড়ে ৭৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী এই বিষয়ে পাস করেছেন, যদিও কিছু বোর্ডে তা আরও কম।

 

গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। আগেও প্রধানমন্ত্রী পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করতেন। এবারে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১১ লাখ ৩১ হাজার ১১৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন, যার মধ্যে ৮ লাখ ৫৪ হাজার ৬৪৪ জন পাস করেছেন। গড় পাসের হার ৭৫.৫৬ শতাংশ, যা গতবারের ৭৫.৯ শতাংশের তুলনায় কম। এবারে ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৭৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন, যা গতবার ছিল ৭৮ হাজার ৫২১।

 

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ইংরেজি বিষয়ে যশোর ও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার ৬৯ শতাংশের কাছাকাছি, ময়মনসিংহে ৭৭ শতাংশ এবং কুমিল্লায় ৮০ শতাংশ। বন্যার কারণে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি, ফলে সেখানে পাসের হার শতভাগ। বাধ্যতামূলক এই বিষয়ের ফলাফলের প্রভাব পাসের গড় হারেও পড়েছে।

 

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানান, বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর ফলাফলে পাসের গড় হার অনেক বেশি প্রভাবিত হয়নি। পাসের হার মূলত ইংরেজি ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।

 

এবারের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ৩০ জুন। পরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়। বিষয় ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা পূর্বে করোনার কারণে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারার সময়ও প্রয়োগ করা হয়েছিল।

 

এছাড়া দেখা গেছে, এইচএসসি পরীক্ষায় ছাত্রীদের পাসের হার ৭৮.২৭ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৭২.৫৫ শতাংশ।

 

এবারের ফলাফলে সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৮৫.৩৯ শতাংশ, যা অন্যান্য বোর্ডের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। তবে ময়মনসিংহ বোর্ডের পাসের হার ৬৩.২২ শতাংশ।

 

বিদেশের আটটি কেন্দ্রে ২৮২ জন পরীক্ষার্থী ২৬৯ জন পাস করেছেন, পাসের হার ৯৫ শতাংশ।

 

এবার শূন্য পাস ও শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠান বাড়েছে। ৯ হাজার ১৯৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৩৮৮টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সবাই পাস করেছেন, গতবার যা ৯৫৩টি ছিল। অন্যদিকে, ৬৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করেনি, যা গতবার ছিল ৪২টি।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট