দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০৪:৪৭

ঢাকার আশপাশে ১০টি সরকারি হাইস্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।

রাজধানী ঢাকার আশপাশে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ১০টি সরকারি হাইস্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য এমন এলাকাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে যেখানে সরকারি স্কুল-কলেজ নেই। ইতোমধ্যে স্থান নির্ধারণ ও জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এই স্কুল-কলেজগুলিতে মূল শিক্ষা কারিকুলামের সঙ্গে একাধিক কর্মমুখী ট্রেড কোর্স যুক্ত করা হবে। জানা গেছে, ঢাকার ক্রমবর্ধমান জনগণের জন্য গুণগত শিক্ষার নিশ্চয়তা এবং শিক্ষার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনার সুযোগ পাবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

 

শতভাগ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়িয়ে ২০২৭ সালের ৩০ জুন নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্বাচিত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে: কেরানীগঞ্জের পশ্চিমদি, ধামরাইয়ের লাকুরিয়াপাড়া, আশুলিয়ার পাথালিয়ায় বাঁশবাড়ি, সাভারের হেমায়েতপুরের বিলামালিয়া, বাড্ডার সাঁতারকুল, নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ডে জালকুড়ি, নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোডের খোর্দ্দঘোষপাড়া, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল, আশুলিয়ার পূর্ব-নরসিংহপুর এবং খিলক্ষেতের জোয়ারসাহারা। এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রায় দুই একর করে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তবে পূর্বাচল, খিলক্ষেতের জোয়ারসাহারা এবং আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুরের জমি অধিগ্রহণের কিছু কাজ এখনো চলমান রয়েছে।

 

প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুবিধার মধ্যে থাকবে: প্রতিটি ভবন ১০ তলাবিশিষ্ট হবে এবং প্রতি ভবনে দু’টি লিফট থাকবে। অ্যাকাডেমিক ভবনের বাইরে শহীদ মিনার, একটি করে জিমনেশিয়াম, গার্ডিয়ান শেড, আধুনিক আসবাবপত্র, কম্পিউটার ও কম্পিউটার-সামগ্রী (ইন্টারনেটসহ), অফিস সরঞ্জামাদি, ল্যাব, জিম ও সাংস্কৃতিক উপকরণ, খেলাধুলার সামগ্রী এবং সকল ধরণের বই-পুস্তক থাকবে।

 

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর প্রথমে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন লাভ করে। এরপর ৬ নভেম্বর এটি পরিকল্পনা কমিশনে অনুমতি পায় এবং ওই মাসের ২০ তারিখে মাউশি বিভাগ থেকে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন লাভ করে। তবে ভবনের নকশাসংক্রান্ত কিছু জটিলতার কারণে পুরো প্রকল্প পুনরায় ২০২৩ সালে একনেক, পরিকল্পনা কমিশন এবং মাউশি থেকেও দ্বিতীয় দফা অনুমোদন নিতে হয়েছে। প্রকল্পের মূল অনুমোদিত ব্যয় ৬৭৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ছিল, যা পরবর্তী সময়ে বেড়ে ৭৫০ কোটি ৪০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট