‘বৈষম্যবিরোধী মুদ্রণ ব্যবসায়ী’ নামের একটি সংগঠন ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য পাঠ্যবই ছাপার চলমান সব দরপত্র বাতিল করে নতুন দরপত্র দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে তারা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কঠোর শাস্তি দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার মতিঝিলে এনসিটিবির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপি দিয়ে এই দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক দিদারুল আলমের সই করা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, একটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্র এনসিটিবির কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশ করে নিম্নমানের বই সরবরাহ করেছে, যা শিক্ষার্থীদের প্রতারণা ও সরকারি অর্থের অপচয় ও দুর্নীতির উদাহরণ। এই চক্র অবৈধভাবে অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ দিয়ে নিম্নমানের কাগজ দিয়ে বই মুদ্রণের অনুমতি দিয়েছে। এছাড়া, কিছু প্রতিষ্ঠানকে কালোতালিকাভুক্ত করলেও পরে অর্থের বিনিময়ে তা প্রত্যাহার করে দুর্নীতি চালু রেখেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি আর সহ্য করা যাবে না।
স্মারকলিপিতে ইউনিসেফ নির্দেশিত মানের কাজের অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানগুলিকে পরিদর্শনের কাজে নিয়োগ করার আহ্বান জানানো হয়, যাতে কাগজ, কালি, মুদ্রণ ও বাঁধাইয়ের গুণগত মান নিশ্চিত করা যায়। এছাড়া, শিক্ষাক্রম সংশোধন করে ব্যাপক সংখ্যক ছাপাখানার অংশগ্রহণের মাধ্যমে যথাসময়ে বই সরবরাহ করার জন্য সহজ শর্তে ছোট প্যাকেজ তৈরি করে সব পর্যায়ের মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করারও দাবি করা হয়।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, শিক্ষাক্রম সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য যোগ্য ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ দিতে হবে।