নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে এবং সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) এর আয়োজনে ‘ডিসেমিনেশন কর্মশালা: অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সেমিনার কক্ষে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালার শুরুতে সাকমিডের নির্বাহী পরিচালক ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দ কামরুল হাসান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। প্রকল্পের কর্মসূচি ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন সাকমিডের প্রোগ্রাম অফিসার ইয়াসিন আহমেদ, যিনি একটি ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। মূল বক্তা হিসেবে ছিলেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মিডিয়া স্টাডিজ ও জার্নালিজম বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক এবং সাকমিডের কনসালটেন্ট ড. শেখ শফিউল ইসলাম, যিনি প্রকল্পের এন্ড-লাইন ফলাফল অংশগ্রহণকারীদের সামনে উপস্থাপন করেন।
ফলাফলে দেখা যায়, অক্টোবর ২০২৩ প্রকল্প শুরুর সময়ে ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জনগণের গুজব সম্পর্কে ধারণা ছিল খুব সীমিত, তবে প্রকল্পের বাস্তবায়নের শেষে তা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের মতে, এমন প্রকল্পগুলো ১ বছরের মধ্যে শেষ না হয়ে ৫ থেকে ১০ বছর চলমান থাকা উচিত।
কর্মশালায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক, উন্নয়নকর্মী, ধর্মীয় নেতা, ট্রান্সজেন্ডারসহ বিভিন্ন পেশা, ধর্ম, লিঙ্গ এবং বয়সের প্রায় ২৫ জন ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালার শেষ পর্যায়ে একটি মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা প্রকল্পজুড়ে তাদের অভিজ্ঞতা, প্রত্যাশা ও মতামত তুলে ধরেন।
‘কমবাটিং মিস এন্ড ডিসইনফরমেশন স্পার্কড বাই ডিজিটাল এন্ড সোশাল মিডিয়া ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের অধীনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা নেদারল্যান্ডস এম্বাসির অর্থায়নে সাকমিড সফলভাবে বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটির মেয়াদ অক্টোবর ২০২৩ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৪।