আসন্ন জানুয়ারিতে বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। মুদ্রণকারীদের ৪০ দিনের মধ্যে ৩৬ কোটি পাঠ্যবই ছাপানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যা ৪ কোটি শিক্ষার্থীর জন্য প্রস্তুত করতে হবে। তবে মুদ্রণকারীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, অতীতে ১৮০ দিন সময় পেয়ে এই কাজ করা সম্ভব হয়েছিল, কিন্তু এবার মাত্র ৪০ দিনে বই ছাপানো সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
এনসিটিবি জানিয়েছে, অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে এই ৪০ দিনের সময় গণনা শুরু হবে এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শেষ হবে। এরপরের দুই সপ্তাহের মধ্যে বইগুলো জেলা ও উপজেলায় বিতরণ করা হবে এবং শিক্ষার্থীরা ১ জানুয়ারিতে বইগুলো হাতে পাবে। কিন্তু মুদ্রণকারীদের মতে, এই সময়ের মধ্যে সব পাঠ্যবই বিতরণ করা সম্ভব নয়; জানুয়ারিতে হয়তো এক-দুটি বই দেয়া সম্ভব হবে।
আগে শুধুমাত্র প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দেয়া হত, তবে ২০১০ সালের পর আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যের বই বিতরণ শুরু হয়। এবার নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পুরনো কারিকুলাম ফিরিয়ে আনা হয়েছে, যা পাঠ্যবই পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে।
মুদ্রণকারীদের অভিমত হলো, পাঠ্যবই ছাপাতে প্রয়োজনীয় কাগজ এবং ব্যাংক ঋণের প্রাপ্তি নিয়েও সমস্যা রয়েছে। এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান জানান, ৭ অক্টোবর থেকে পাঠ্যবই ছাপানোর দরপত্র খোলা হবে।
বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জুনায়েদ আল মাহফুজ বলেছেন, ৩৬ কোটি পাঠ্যবই ছাপাতে অন্তত ২০০ দিনের প্রয়োজন। বাস্তবতা অনুযায়ী ৪০ দিনে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।
পাঠ্যবই ছাপাতে দরপত্র প্রক্রিয়া, কাগজ সংগ্রহ এবং ব্যাংক ঋণ সবই সময়সাপেক্ষ। তাই মুদ্রণকারীরা আশঙ্কা করছেন যে, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার কারণে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এরই মধ্যে পাঠ্যবই সংশোধনের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশোধিত বইয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে।
অবশেষে, গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নতুন সরকারের অধীনে পাঠ্যবইয়ের মধ্যে কিছু পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যার ফলে বইগুল