প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগ ওঠার কারণে গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ২৪ জন শিক্ষার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ নাভিলা কাশফি এই নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশটি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পিএসসির চেয়ারম্যান, জনপ্রশাসন সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ ১৪ জনকে পাঠানো হয়েছে। নোটিশে ১৫ দিনের মধ্যে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বাতিলের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে, অন্যথায় উচ্চ আদালতে রিট করা হবে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে প্রশ্নফাঁস সংক্রান্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ১৩ জুলাই প্রকাশিত ‘৪৬তম বিসিএস পরীক্ষায় ১৭ জনকে প্রশ্ন দেন সাজেদুল’ শিরোনামের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৭ জন প্রার্থী ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলামের। প্রশ্ন সরবরাহের বিনিময়ে তিনি তাদের কাছ থেকে অন্তত ২০ লাখ টাকা নিয়েছেন, এর মধ্যে ১৩ জন পাস করেছেন।
পিএসসির প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ৭ জুলাই ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সাজেদুল ইসলামসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সাজেদুলসহ ছয়জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা কোন প্রক্রিয়ায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, পরীক্ষার্থী সংগ্রহ এবং প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ করানোর বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। সিআইডি বর্তমানে এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করছে।
এছাড়া তদন্তে জড়িত পিএসসির বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সাজেদুল ২০ বছর ধরে পিএসসির অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
