দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে এলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম। আজ শনিবার তিনি ফেসবুকে একটি পোস্টে দাবি করেন যে, তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বর্তমান সভাপতি। সাদিক কায়েম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
ফেসবুক পোস্টে সাদিক লিখেছেন, “ফ্যাসিস্ট শোষণ শুধু ছাত্র রাজনীতি নয়, রাজনীতির সংজ্ঞাই পালটে দিয়েছে। ফ্যাসিবাদে কোনো রাজনীতি থাকে না; বিরাজনীতি ফ্যাসিবাদের ভাষা।” তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদ ছাড়া সব বাদ, ইজম ও রাজনীতি ফ্যাসিবাদে অনুপস্থিত থাকে। টেন্ডারবাজি, গুম, খুন, ক্রসফায়ার, ফাঁসি, ধর্ষণ, রাহাজানি এবং দুর্নীতি—এসব রাজনীতি নয়; এগুলো ফ্যাসিবাদ।”
তিনি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের গত ষোল বছরের ভয়ংকর দিনগুলোর কথা উল্লেখ করে বলেন যে, এসব ঘটনাগুলো তরুণ প্রজন্মের মধ্যে রাজনীতির প্রতি তীব্র ঘৃণা সৃষ্টি করেছে। তবে চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নতুন সচেতনতা তৈরি করেছে। “দেয়ালে দেয়ালে লেখা হচ্ছে, ‘এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি’,” যোগ করেন তিনি।
ফারুকী বলেন, “আমরা জানি এই স্বাধীনতার জন্য শহীদ হয়েছে রাজনৈতিক দল সংশ্লিষ্ট এবং দলের আওতামুক্ত রাজনীতি সচেতন ছাত্র-জনতা। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটানোর চেয়ে বড় রাজনীতি আর কিছু নেই।” তিনি আশা প্রকাশ করেন যে ছাত্র রাজনীতিতে ইতিবাচক সংস্কার হবে এবং মত-দ্বিমত থাকবে।
তিনি উল্লেখ করেন যে গণতান্ত্রিক দেশে ভিন্ন মতের প্রতি সম্মান থাকতে হবে এবং কেউ যেন স্বৈরাচারী না হয়ে উঠতে পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। “এই রাজনৈতিক সংস্কারে অবশ্যই চব্বিশের শহীদদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকতে হবে,” বলেন তিনি।
সাদিক কায়েম সকলকে ছাত্র রাজনীতির সংস্কারের জন্য গবেষণা ও পলিসি ডায়ালগের মাধ্যমে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।