বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ সম্প্রতি জানিয়েছেন যে বন্যার্তদের সহায়তায় গঠিত ত্রাণ তহবিলের বেশিরভাগ অর্থ পরিকল্পিতভাবেই ব্যাংকে রাখা হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ তথ্য জানান।
হাসনাত বলেন, “তহবিল সংগ্রহের শুরু থেকেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, পুরো অর্থ একবারে খরচ না করে বেশিরভাগই জমা রাখা হবে। কারণ, আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে জানা গেছে, বন্যার পরবর্তী ধাপে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ সহায়তা বেশি প্রয়োজন হয়। এখন যখন বন্যার পানি নেমে যাচ্ছে, সেই অর্থ ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে ব্যয় করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর নির্মাণসহ অন্যান্য কাজের পরিকল্পনা করছিলাম, কিন্তু আয়-ব্যয়ের অডিট সম্পন্ন না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। তবে শিগগিরই নিরীক্ষা শেষ করে তহবিলের সব অর্থ ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে ব্যয় করা হবে।”
হাসনাত বলেন, “আমাদের তহবিলের অর্থ জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, এবং ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় বিশেষভাবে সংরক্ষিত আছে, যা আত্মসাৎ করা সম্ভব নয়। এই অ্যাকাউন্টগুলো পরিচালনার জন্য তিনজন স্বাক্ষরকারী রয়েছেন, যার মধ্যে একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও আছেন।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমাদের ত্রাণ কার্যক্রমের আয়-ব্যয়ের ওপর একটি নিরীক্ষা চলছে, যা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। এতে সিএ ফার্মের প্রফেশনাল ব্যক্তিরা যুক্ত রয়েছেন, যাতে পরবর্তীতে কেউ কোনো অভিযোগ তুলতে না পারে।”
সবশেষে হাসনাত বলেন, “যদি কেউ ত্রাণ তহবিলের এক টাকারও দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আমি বিনা বাক্যে দেশের আইনের অধীনে যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব।”