বিসিএসসহ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের তদন্তে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পিএসসির গঠিত তদন্ত কমিটি যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে, তাতে সুনির্দিষ্ট কোনো পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফলে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় যে পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবি উঠেছিল, তা বাতিলের কোনো আশঙ্কা নেই বলে মনে করছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পিএসসির তদন্ত কমিটির একজন কর্মকর্তা ও কমিশনের একজন সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পিএসসির সবশেষ সভায় এ বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে এবং কমিশনের একজন সদস্য জানান, তদন্ত কমিটি প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে খতিয়ে দেখেছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পরীক্ষক, কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে কোনো পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
পিএসসির দুই কর্মকর্তা ও কমিটিতে থাকা এক সদস্য জানান, প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কোনো পরীক্ষা বাতিলের সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এবং প্রতিবেদন দ্রুত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
উল্লেখ্য, পিএসসির অধীনে গত ১২ বছরে অনুষ্ঠিত বিসিএস প্রিলিমিনারি, লিখিতসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩০টি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের দাবি করেছে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ার পর পিএসসি তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির আহ্বায়ক কমিশনের যুগ্ম-সচিব আবদুল আলীম খান, সদস্য পিএসসির পরিচালক দিলাওয়েজ দুরদানা এবং সদস্যসচিব পিএসসির পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুল হক। দীর্ঘ তদন্তের পর কমিটি কোনো প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পায়নি এবং প্রতিবেদনটি দ্রুত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।