কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর ছয়টি এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। এই পরীক্ষাগুলোর ফলাফল সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতিতে প্রস্তুত করা হবে। শিক্ষাবোর্ড পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে। শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর মূল্যায়ন জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে করা হবে। এর মানে হলো, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার নম্বরের গড় নিয়ে ফল তৈরি করা হবে। বিশেষ করে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ের জন্য জেএসসি নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি নম্বরের ৭৫ শতাংশ যোগ করে ওই বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সময় পরীক্ষাগুলো বাতিল হয়েছিল এবং পূর্বের সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করা হয়েছিল। এবারও সেই পদ্ধতিতেই ফল তৈরি করা হবে, এবং প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত হলে দ্রুত ফল প্রকাশ করা হবে।
বোর্ড সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল হয়ে সব পরীক্ষার্থীকে অটো পাস করা হয়েছিল। এসএসসি ও জেএসসি ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে কিছু বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হলেও বাকি বিষয়ের ফলও একই পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছিল।
গত সপ্তাহে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে ফল প্রকাশ সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে এবং প্রস্তাবটি যাচাই-বাছাই চলছে। মন্ত্রণালয় শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।