আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন, আবাসিক হল এবং বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে দেখা যায়- অধিকাংশ দপ্তরের কক্ষের তালা খোলা হয়নি।
অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মার্কশিটে আমার মায়ের নামের বানানে একটু ভুল থাকায় সংশোধন করার জন্য প্রশাসনিক ভবনে এসেছি।
কর্মসূচিতে মাসুদ রানা নামের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নেই। তাহলে আমরা কি অপরাধ করলাম? আমরা উপাচার্যকে বলতে চাই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আর যেন বৈষম্যের শিকার না হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছে এবং এতে কিছু হয়ত শিক্ষার্থী ভোগান্তির শিকার হচ্ছে তা আমি অবগত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত এ সমস্যার নিরসন হবে।’
গত ২ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পোষ্য কোটা মৌখিকভাবে সম্পূর্ণ বাতিলের ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট এবং এর আগেও একদিন পূর্ণদিবস কর্মসূচি পালন করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরবর্তীতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে গত ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি, ছাত্রসংগঠন এবং প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।