দ্যা নিউ ভিশন

এপ্রিল ২, ২০২৫ ০৮:০১

পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনতে কর্মবিরতিতে রাবির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ছবি : কালের কণ্ঠ
ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে আবারও পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় জরুরি পরিষেবা হিসেবে শুধুমাত্র বিদ্যুৎ, চিকিৎসা, পরীক্ষা, পানি, পরিবহন ও নিরাপত্তা প্রহরী বিভাগ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের দাপ্তরিক কাজ বন্ধ রেখেছেন তারা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অ্যাকাডেমিক কাজ করতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন, আবাসিক হল এবং বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে দেখা যায়- অধিকাংশ দপ্তরের কক্ষের তালা খোলা হয়নি।

কিছু কিছু কক্ষের দরজা খোলা হলেও বন্ধ রয়েছে কার্যক্রম। ফলে জরুরি কাজে মার্কশিট, সার্টিফিকেট তুলতে আসা শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
মো. সজিব নামে ইতিহাস বিভাগের সাবেক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার মাস্টার্স পরীক্ষার সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট নেওয়ার জন্য এসেছি কিন্তু প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় নিতে পারছি না। আমার মতো আরো অনেক শিক্ষার্থী তাদের দরকারি কাগজপত্র নিতে এসে চলে যেতে হচ্ছে।

কতদিন পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে বলতে পারছি না। তাই আমি চাই শিক্ষার্থীদের এই দুর্ভোগ যেনো আর না পোহাতে হয়। এই সমস্যাটি দ্রুত নিরসন করে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু করে দেওয়া হোক।’ 

অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মার্কশিটে আমার মায়ের নামের বানানে একটু ভুল থাকায় সংশোধন করার জন্য প্রশাসনিক ভবনে এসেছি।

কিন্তু পোষ্য কোটা পুনর্বহাল রাখতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির ফলে আমাকে ফিরে যেতে হচ্ছে।’
এদিকে আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের পাশে লিচু চত্বরে অবস্থান নিয়ে ‘কর্মকর্তা, সহায়ক কর্মচারী, সাধারণ কর্মচারী, পরিবহন কর্মচারী সমিতি’র ব্যানারে কর্মবিরতি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

কর্মসূচিতে মাসুদ রানা নামের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নেই। তাহলে আমরা কি অপরাধ করলাম? আমরা উপাচার্যকে বলতে চাই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আর যেন বৈষম্যের শিকার না হয়।

আমাদের এই আন্দোলন কোনো শিক্ষার্থী ভাইদের বিরুদ্ধে না। এই আন্দোলন আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন। যতদিন পর্যন্ত না দাবি আদায় হবে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছে এবং এতে কিছু হয়ত শিক্ষার্থী ভোগান্তির শিকার হচ্ছে তা আমি অবগত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত এ সমস্যার নিরসন হবে।’

গত ২ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পোষ্য কোটা মৌখিকভাবে সম্পূর্ণ বাতিলের ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট এবং এর আগেও একদিন পূর্ণদিবস কর্মসূচি পালন করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরবর্তীতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে গত ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি, ছাত্রসংগঠন এবং প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ছাত্রদলের অনুষ্ঠানে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি, ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আশা

ছাত্রশিবির, ছাত্রদলসহ যাঁরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী