আল্টিমেটাম দেওয়া সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের কার্যালয় শিক্ষার্থীরা তালাবদ্ধ করে দেয়। একই সাথে তার কক্ষের সামনের নামফলক খুলে ফেলেন তারা। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
### শিক্ষার্থীদের দাবি ও উপাচার্যের বিরোধিতা:
শিক্ষার্থী ভূমিকা সরকার বলেন, “আমরা ৩৬ দিনের আন্দোলনে নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু উপাচার্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চেতনার পরিপন্থী কাজ করেছেন এবং স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি স্ব-ইচ্ছায় পদত্যাগ না করলে আরও কঠোর আন্দোলন করা হবে।”
### উপ-উপাচার্যের প্রতিক্রিয়া:
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী জানিয়েছেন, “আমি ঘটনাটি শুনেছি এবং শিক্ষার্থীদের সাথে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো।”
### প্রেক্ষাপট:
গত বুধবার শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে সভা করে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার মধ্যে উপাচার্যের পদত্যাগের সময়সীমা নির্ধারণ করে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন এবং তাকে স্বৈরাচারের দালাল হিসেবে উল্লেখ করেন।
### বর্তমান উপাচার্যের ভূমিকা:
শিক্ষার্থীরা জানান, বর্তমান উপাচার্য কোনো দৃশ্যমান উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারেননি এবং পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নেও অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কাজ স্থবির করে দিয়েছেন।
### উপাচার্যের নিয়োগ:
ড. শুচিতা শরমিন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম ও প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পান এবং ২৬ সেপ্টেম্বর যোগদান করেন। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি ও আন্দোলনের মুখে তার পদত্যাগের প্রশ্ন ওঠে।
আপনার কি এ বিষয়ে আরও কিছু জানার ইচ্ছা করছে? 😊